প্রকাশ: ২৬ মার্চ, ২০১৯ ১৪:০০ অপরাহ্ন
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলেছেন পর্তুগালের হয়ে। তবে ইউরো বাছাইপর্বে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা শেষে শুধু পর্তুগাল নয়, রোনালদোর ক্লাব জুভেন্টাসেরও যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে। ৩১ মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়া রোনালদো ডাগ আউটে বসে দেখেছেন ১-১ গোলে ড্র করে তাঁর দলের পয়েন্ট হারানো। দুই ম্যাচ খেলে ইউরোর বাছাইপর্বে এখনো জয়হীন—এটা যদি পর্তুগালের দুশ্চিন্তার কারণ হয়, জুভেন্টাসের দুশ্চিন্তা রোনালদোর চোট। আয়াক্সের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল যে কড়া নাড়ছে দরজায়!
রোনালদো কি আর এসব কথা জানেন না? তাঁর দেশ ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু এই পর্তুগালই যদি আগামী বছর ইউরোর মূল পর্বেই খেলতে না পারে, সেটা কিছুটা তো লজ্জাজনক ব্যাপার হবে তাঁর জন্যও। ওদিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে যদি খেলতে না পারেন, আর তাতে করে যদি জুভেন্টাস বাদ পড়ে যায়, সেটাও মেনে নেওয়াও তো কঠিন। জুভেন্টাস তো তাঁকে কিনেছেই চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার লক্ষ্য নিয়ে। নইলে সিরি ‘আ’ জিততে কি আর জুভেন্টাসের রোনালদোকে লাগে! ওখানে তো তারা রোনালদো আসার আগেই টানা সাত বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন!
পর্তুগাল ও জুভেন্টাস—দুই দলেরই শঙ্কাটা জানেন বলেই বোধ হয় ম্যাচ শেষে রোনালদো আশ্বস্ত করেছেন দুই পক্ষকেই। চোটটাকে খুব বেশি পাত্তা না দিয়ে বলেছেন, ‘ফুটবলে এমন হতেই পারে। আপনি বৃষ্টি নামলে তো ভিজতে হবেই। আমি নিরুদ্বেগই আছি। আমি তো আমার শরীরটাকে চিনি, দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি ঠিক হয়ে যাব।’
দুই সপ্তাহ! তাহলে জুভেন্টাস খুব নিশ্চিন্ত থাকে কী করে! আয়াক্সের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ ১০ এপ্রিল, ফিরতি লেগ এর ছয় দিন পর। তার মানে মাঝে আসলে সপ্তাহ দু-একের মতোই সময় পাচ্ছেন রোনালদো, একটু বেশি সময় লাগলেই কিন্তু প্রথম লেগে না-ও খেলা হতে পারে।
জুভেন্টাস অবশ্য সমর্থকদের দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টা করেছে সাধ্যমতো। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো পর্তুগালে পরীক্ষা করেছে। সেখানে তাঁর ডান ঊরুতে হালকা চোট দেখা গেছে। পরিস্থিত সব সময় নজরে রাখা হবে এবং মাঠে ফেরার জন্য কী করতে হবে সেটা বোঝার জন্য নতুন করে পরীক্ষা করা হবে।’
