ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

করোনা প্রতিরোধে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়


প্রকাশ: ১০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


করোনা প্রতিরোধে ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করবে ধর্ম মন্ত্রণালয়

 

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে বাংলাদেশে তিনজন আক্রান্ত হওয়ার খবরে সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় চেতনা ও মূল্যবোধ জাগ্রত করে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর অংশ হিসেবে সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানোসহ দেশজুড়ে বিতরণ করা হবে কয়েক লাখ লিফলেট। বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় ।

সোমবার (৯ মার্চ) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহসহ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।এতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী প্রচারণা চালানো হবে। দেশের প্রত্যেক মসজিদে জুমার দিনে করোনাসহ সব বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের অধীনে তিন লাখ মসজিদ আছে, অনেকগুলো মাদ্রাসা আছে। বিভিন্ন মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা আছে। দেশের প্রতিটি গ্রামে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কমিটি আছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব কর্মচারী-কর্মকর্তার মাধ্যমে দেশবাসীকে করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা, লিফলেট বিতরণ, পোস্টার লাগানোর কাজ করানো হবে।’ এ বিষয়ে যা যা প্রয়োজন, করণীয়, সবকিছু করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বিপদের সময় ধর্মীয় চেতনাবোধকে উপলব্দি করানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আর এ সময়ে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সেন্ট্রাল কমিটি যেভাবে বলবে সেভাবে করা হবে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বড় আকারে কিছু করা হবে না। যেগুলো করলে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে পারে সেগুলো করা হবে না।’

করোনা ভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে এরই মধ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বড় আকারের কোনও অনুষ্ঠান, এমনকি করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াতে পারে—এমন কিছু না করার জন্য সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  নির্দেশ দেন। 


   আরও সংবাদ