ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

আগুনে দগ্ধ গৃহবধুর মৃত্যু, স্বামী আটক


প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


আগুনে দগ্ধ গৃহবধুর মৃত্যু, স্বামী আটক

   

স্টাফ রিপোর্টার : আগুনে দগ্ধ গৃহবধূর নাম খাদিজা আক্তার লাবনী (১৯) আজ রাতেই ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সে বরিশালের মুলাদী উপজেলার বানেরচড় গ্রামের জাকির হাওলাদারের মেয়ে খাদিজা। 

শুক্রবার রাত ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢামেকের বার্ণ ইউনিটে মারা যান। 

গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় বরিশালের জেলার মুলাদি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের স্বামী দিনমজুর বাবু ব্যাপারী'র বাসায় এই ঘটনা ঘটে। 

প্রথমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল সেখান থেকে সদর হাসপাতাল, শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটি ভর্তি করা হয়।

তার শরীরের চব্বিশ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়। 

সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে জানান, তার শরীরের চব্বিশ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ছিল। ঢামেক বার্নইউনিটে  চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, মৃতের মা বোন অভিযোগ করায় মৃতার স্বামী বাবু ব্যাপারী (২৫) কে বার্ণ ইউনিট থেকে আটক করা হয়েছে। বিষয় টি সংশ্লিষ্ট থানা'কে অবিহিত করা হয়েছে। 

মৃতার মা মনোয়ারা বেগম ও বোন পপি বলেন, গত ছয় মাস আগে বাবু ব্যাপারীর আমার মেয়ে খাদিজাকে আমাদের অ'মতে জোর পূর্বক বিয়ে করে। তার আগে অন্য ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছি সেখান থেকে ভাগিয়ে নিয়ে বাবু বিয়ে করে।

তাদের বাসায় রাখে। আমরা তার বাড়িতে গেলে দেখা করতে দিতো না, মেয়ে কে আমাদের বাসায় আসতে দিতো না। তারা বলেন, তার স্বামী তাকে কেরোসিন তৈল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। 

আমারা সংবাদ শুনে হাসপাতাল গিয়ে দেখতে পাই মেয়ের শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেছে। তার পোড়া কাপড়ে কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছি। 

এদিকে আটক মৃতার স্বামী বাবু ব্যাপারী বলেন, আমরা দু'বছর প্রেম করে গত কুরবানি ঈদের পর নিজেরা বিয়ে করি। 

এ বিয়ে খাদিজার পরিবার মেনে নেয়নি। তাই তাদের সাথে যোগাযোগ ছিল না। দগ্ধের ব্যাপারে বলেন, ঘটনা সময় আমি পাশের রুমে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে, ঐ রুমে গিয়ে তার শরীরে আগুন দেখতে পাই। পরে দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে স্থানীয় হাসপাতাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। 

খাদিজা আমাকে বলেছে সে দিয়াশলাই দিয়ে দুষ্টমি করতে গিয়ে ঝরজেটের ওড়নায় আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।


   আরও সংবাদ