ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

দিল্লিতে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের উপর গুলি ও মারধর করছে উগ্রপন্থিরা


প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


দিল্লিতে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের উপর গুলি ও মারধর করছে উগ্রপন্থিরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও নাগরিকত্ব তালিকা (এনআরসি) ভারতজুড়ে যে সহিংসতা সৃষ্টি করেছে, তা ক্রমেই বেড়ে মুসলমানদের কষ্টের বোঝা ভারী করছে। কেননা, দিল্লির মুস্তাফাবাদের ব্রিজপুরি এলাকায় আরেকটি মসজিদে আবার হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত নিহত সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জন হয়েছে গত দিল্লিতে টানা চারদিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। আহত হয়েছেন ২০০ এর বেশি। নিহতদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন। তবে মুসলমানের সংখ্যাই বেশি বলে জানা গেছে স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এছাড়া পুলিশ কর্মী, গোয়েন্দা বিভাগের লোকও নিহত হয়েছেন।

শুধু তা-ই নয়, মসজিদে ঢুকে নামাজরত মুসল্লিদের গুলি চালানো এবং রড দিয়ে বেধড়ক ভাবে পেটানোর ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী। এছাড়া সেখানকার মাদ্রাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনায়ও হামলা চালাতে বাদ রাখেনি উগ্রপন্থিরা।

সেখানকার অরুণ মডার্ন পাবলিক সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ওই স্কুলের শিক্ষক কাসিম জাহিদ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এ দিন বিকেল ৪টার পর স্কুলে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। স্কুলের আসবাবপত্র এবং কম্পিউটার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এছাড়া পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কয়েকটি গাড়ি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ওই স্কুলে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি। স্কুলটির পেছনেই রয়েছে মসজিদ। বিকেলে স্কুলে হামলা চালানোর পর সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

এরপরও সংঘর্ষ থামেনি। বেশ কয়েকটি ভবনে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর রাত ৮টায় মসজিদে এশার নামাজ শুরু হলে সেখানে ঢুকে মুসল্লিদের রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। একইসঙ্গে গুলিও চালানো হয় মুসল্লিদের ওপর। 

সংগৃহীত১২ থেকে ১৫ জন মুসল্লিকে পেটানো হয়। একইসঙ্গে ইমামকেও গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইমাম হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া ওই মসজিদ আর স্কুলের পাশে থাকা একটি মাদ্রাসায়ও অগ্নিসংযোগ করেছে উগ্রপন্থিরা।

পরে সেখানে সাংবাদিকরা পর্যবেক্ষণে গেলে দেখতে পান, মসজিদে রক্ত পড়ে আছে বেশ। একইসঙ্গে পুড়েও গেছে অনেক। এ থেকে বাদ যায়নি পবিত্র কোরআন শরিফও। মেঝেতে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখা গেছে কোরআন শরিফের পাতা।

রোববার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফর চলাকালেই দিল্লিতে সিএএ সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি মিছিল থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। যা একপর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে।


   আরও সংবাদ