প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ বলেন, খালেদা জিয়ার রায় আদালতের ব্যাপার। এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই। আদালত যদি মনে করেন তাকে জামিন দেবেন, তাহলে জামিন পাবেন। আদালত যদি মনে করেন তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য নন, তাহলে জামিন হবে না। এটা একান্তই আদালতের ব্যাপার।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইদানিং হঠাৎ করেই টেলিভিশন সাংবাদিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। যদি ছাঁটাই করতে হয়, সেটি আইন মেনে করা উচিত। একজন মানুষ যেখানে কাজ করছে বছরের পর বছর, হঠাৎ করে ছাঁটাইয়ের কাগজ ধরিয়ে দেওয়া এটি কোন ভাবেই সমীচীন নয়। আইনসম্মত নয়।
মালিকপক্ষকে উদ্দেশ্য তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে কাউকে যেকোনো সময় এভাবে ছাঁটাই করবেন না। একজনকে ছাঁটাই করতে হলে আইন মেনে ছাঁটাই করুন। সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখার জন্য সাংবাদিকের প্রয়োজন। সাংবাদিক ছাড়া কোনোমতেই মিডিয়া চলবে না। তাই সাংবাদিকদের কাজ শুরুর আগে নিয়োগপত্র হাতে নেয়ার পরামর্শ দেন। হাতে নিয়োগপত্র থাকলে ছাঁটাইয়ের সময় সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ১১ বছর আগে সাড়ে ৪০০ দৈনিক পত্রিকা ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা সাড়ে ১২০০ তে উন্নীত হয়েছে। ১১ বছর আগে দেশে দশটি টিভি চ্যানেল ছিল। বর্তমানে ৩৪টি টিভি চ্যানেল আছে। দেশে বর্তমানে ৩৫ হাজার অনলাইন পত্রিকা রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করেছে। আইপিটিভির জন্য ৫০০ আবেদন জমা আছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১১ বছরে দেশে গণমাধ্যমে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে পত্রিকা-গণমাধ্যমের সংখ্যা কমেছে, সেখানে বাংলাদেশে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বোঝা যায় বাংলাদেশ সরকার গণমাধ্যম বান্ধব হওয়ায় এত অগ্রগতি হয়েছে। তবে এই অগ্রগতির পরেও কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের মাঝে দেখা দিয়েছে। সেগুলো সাংবাদিকদের পাশাপাশি সরকারিভাবেও সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি আবু জাফর সূর্যের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ প্রমুখ।