ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩২, ২০ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

রাজধানীতে বোমা পুঁতে রাখার দায় স্বীকার ‘আইএসের’


প্রকাশ: ২৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


রাজধানীতে বোমা পুঁতে রাখার দায় স্বীকার ‘আইএসের’

রাজধানীতে পুলিশের দুটি চেক পয়েন্টের সামনে বোমা পুতেঁ রাখার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)। হামলার উদ্দেশ্যে এই বোমা দুটি স্থাপন করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছে আইএস। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আইএস সম্পৃক্ততার তথ্যটি এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।

ইসলামিক স্টেট গ্রুপের কর্মকাণ্ড নজরদারি করে, যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সাইট ইন্টেলিজেন্স একটি টুইট বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন কাউকেই চিহ্নিত করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও বিস্ফোরণের আগেই বোমা দুটি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

এ ব্যাপারে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন বলেন, এর পেছনে আইএস, জেএমবি বা কোন সংঘবদ্ধ দল জড়িত কিনা- তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে। আগে এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটলে আমরা কিছু ধরণ দেখেই বলে দিতে পারতাম যে এটা কাদের কাজ হতে পারে। কিন্তু এবারের ঘটনাগুলো আইডেন্টিকাল না। আইএস যে ধরণের বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহার করতো সেগুলোর মেকানিক্যাল ফিচারে বেশ মিল থাকতো। কিন্তু এবারে তেমনটা দেখা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন তথ্য, সংগঠনগুলো কার্যক্রম সেগুলো অ্যানালাইসিস করছি। কিন্তু আমাদের হাতে আসা তথ্যের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রশ্নে অনেক অসামঞ্জস্যতা আছে। তাই আমরা পুরো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই গণমাধ্যমকে সব জানানো।

IS Claims Bombings at Two Bangladeshi Police Checkpoints in Dhaka https://t.co/dDlrhjyUcD

— SITE Intel Group (@siteintelgroup) July 24, 2019 ">http://

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুলাই রাত ১২টার দিকে রাজধানীর খামারবাড়ি মোড়ের পুলিশ চেকপোস্টের কাছে থেকে এই বোমা সদৃশ বস্তুটি উদ্ধার করা হয়। সেখানকার মেট্রোরেল কর্মীরা সন্দেহজনক এই বস্তুটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তুটি উদ্ধার করে।

এর আগে একই দিন রাত ১১টার দিকে ঢাকার পল্টন মোড় এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের কাছ থেকে আরেকটি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়। একটি বাদামি কার্টনে বোমাটি ঢাকা অবস্থায় ছিল। পরে দুটি বোমারই ‘নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ’ ঘটান বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্যরা।

এরইমধ্যে প্রাথমিকভাবে দুটি বোমার আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে যে, সেগুলো একই ধরণের সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এগুলোর কারিগর একই ব্যক্তি হতে পারে। বোমা দুটোয় যে ধরণের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে সেটা খুব বেশি শক্তিশালী নয়।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গুলিস্তানে ও ২৬ মে রাতে মালিবাগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘শক্তিশালী’ ককটেল বোমা হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের এক নারী এএসআইসহ চারজন পুলিশ সদস্য ও একজন রিকশাচালক আহত হয়েছিল। ওই দুটো ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার দায় আইএস স্বীকার করলেও পুলিশ সে সময় তা অস্বীকার করে।


   আরও সংবাদ