ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের


প্রকাশ: ২২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের

মাগুরার সদর উপজেলায় বাড়ি থেকে স্ত্রী ও শিশুপুত্রের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। তার গলায় ধারালো বঁটির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন স্বামী।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এলাকাবাসীর খবরের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশ পারনান্দুয়ালীর একটি টিনশেড ঘর থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে। এই বাড়িতেই তারা ভাড়া থাকত।

নিহত দুজন হলেন বিট্টু মজুমদারের স্ত্রী পুণ্য (২৫) ও ১০ মাসের ছেলে মানব। গুরুতর জখম অবস্থায় বিট্টু মজুমদারকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ৩ বছর আগে পারনান্দুয়ালী মিস্ত্রীপাড়ার নির্মল মজুমদারের ছেলে বিট্টু মজুমদার প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে চুয়াডাঙ্গা সদরের ভাড়ম পাড়ার কালাম শেখের মেয়ে পূর্ণকে বিয়ে করেন। ধর্মীয় কারণে বিট্টুর পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় তিনি মাগুরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া থাকতেন। সর্বশেষ পারনান্দুয়ালীর হাজী আব্দুর রশিদের একটি টিনসেড ঘর ভাড়া নেন তারা।

পেশায় বিট্টু থাইগ্লাসমিস্ত্রী। সবসময় কাজ না থাকায় প্রায় তিনি বেকার থাকতেন। দারিদ্রতার কারণে তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকতো। কিছুদিন ধরে বিট্টু স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরই এক পর্যায়ে তিনি এই ঘটনা ঘটান।

পুলিশ নিহতদের লাশ মর্গে পাঠিয়েছে। মাগুরা সদর হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে বিট্টুর অস্ত্রপচার চলছে। যে ধারালো বটি দিয়ে বিট্টু এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন সেটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিট্টুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ১০ মাসের ছেলের মস্তক দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।


   আরও সংবাদ