ঢাকা, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২, ২৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

করোনাভাইরাস: শাহজালাল বিমান বন্দরে অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন


প্রকাশ: ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


করোনাভাইরাস: শাহজালাল বিমান বন্দরে অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন

নিউজ ডেস্ক: চীনসহ বিভিন্ন দেশে থেকে বাংলাদেশে আসা নাগরিকদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সতর্কতায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ১০ জন অতিরিক্ত চিকিৎসক মোতায়েন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া বিমান বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দায়িত্ব পালন করছেন।

শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি দেশের সব বিমান, নৌ ও স্থল বন্দরের স্বাস্থ্য সহায়তা ডেস্কের সার্বিক কার্যক্রমের জন্য পরামর্শ ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি এবং চীনা যাত্রী বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদফতর দুঃখ প্রকাশ করেছে।

শাহজালাল বিমানবন্দরে ঘটে যাওয়া বিভ্রান্তির ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মর্কতা। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশের সব বন্দরে নেওয়া হয়েছে প্রতিরোধ ব্যবস্থা।

৩ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চীন থেকে আগত সাউদার্ন এয়ারলাইনসের এক যাত্রী জানান, কোনো প্রকার চেকিং করা হচ্ছে না বাংলাদেশের বিমানবন্দরে। একই অভিযোগ আরও অনেকের। আর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে এ বিষয়কে অনাকাঙ্খিত ও বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চীন ফেরত যাত্রীদের অপেক্ষা করার বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে ঢাকায় আসে বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইট। তাদের অধিকাংশকেই কোয়ারেন্টাইনের জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে নেওয়া হয়। কয়েকজনকে নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। এরপরে চীন থেকে আসা সব ফ্লাইটের যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে কি না তা নিয়ে বিমানবন্দরের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা যায়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতামত ছিল শুধু যারা উহান থেকে আসবে তাদেরই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। একই সঙ্গে চীনের অন্য অঞ্চল থেকে আসা যাত্রীদের লক্ষণ দেখে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞগণের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতামতে সর্বসম্মতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এতে যথেষ্ঠ বিলম্ব হয়।
যাত্রীরা থার্মাল স্ক্যানার মেশিন পার হয়ে ইমিগ্রেশন এলাকায় আসেন কিন্তু সেখান থেকে সব প্রক্রিয়া শেষ করার পরেও বিমানবন্দর ত্যাগ করতে না দেওয়ায় ভিড় জমে যায়। এ সময়ে কিছু সংখ্যক যাত্রী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। থার্মাল স্ক্যানার এলাকায়ও ভিড় হয়ে যায়। কিছু যাত্রীকে এ সময় মারমুখী অবস্থাতেও দেখা যায়। নিজেদের রক্ষা করতে সে সময় সেখানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা কিছুক্ষণের জন্য একটু। দূরে অবস্থান করতে বাধ্য হন। সেখান থেকে থার্মাল স্ক্যানারের দিকে নজর রাখেন তারা। একজন স্বাস্থ্যকর্মী মোবাইল ফোনে ধারন করা সেই সময়ের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির ভিডিওচিত্র ধারণ করেন।

থার্মাল স্ক্যানারে লক্ষণ ধরা না পড়ায় যাত্রীদের স্বাস্থ্য কার্ডেই লিখে দেওয়া হয়েছিল যাতে সহজে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পরামর্শও দেওয়া হয়। তবে উদ্ভুত পরিস্থিতির উপরে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এ সময়ে যাত্রীদের বিড়ম্বনা ঘটায় দুঃখ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।


   আরও সংবাদ