প্রকাশ: ১৬ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সীমান্ত রক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও মহান দায়িত্ব বিজিবি'র উপর ন্যস্ত এবং নানান সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষাসহ চোরাচালান, মাদক পাচার ও নারী-শিশু পাচার রোধে বিজিবি’র সফলতা প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ (১৬ জুলাই) সকালে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন।
এসময় ২০১৮ সালে বিজিবি’র কর্মকাণ্ডে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূ্র্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে এই সফলতা আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে আপনারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি"।
দেশের ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর বিভিন্ন কর্মকান্ডে ২০১৮ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪টি ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৪৬ জনকে পদক প্রদান করা হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ০৯ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ১৫ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক (পিবিজিএম), ২ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২০ (বিশ) জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিবিজিএমএস) প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, "সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজিবি’র ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের উদ্যোগে বিজিবি’র উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির ফলে বাহিনীর সদস্যদের সক্ষমতা ও কর্মস্পৃহা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আজ তাদের মনোবল অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক উন্নত’’।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীবৃন্দ।
