ঢাকা, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩২, ১৯ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

সার্ভার ত্রুটিতে ঢাকায় হয়নি হজযাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন


প্রকাশ: ৪ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন


সার্ভার ত্রুটিতে ঢাকায় হয়নি হজযাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজ ফ্লাইট আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এ বছরই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের পাশাপাশি সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন (প্রি–অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হওয়ার কথা। তবে আজ সকাল সোয়া সাতটায় প্রথম ফ্লাইটে এই সুবিধা যাত্রীরা পাননি। পরে বেলা সোয়া ১১টায় বিমানের দ্বিতীয় ফ্লাইটেও এই প্রি–অ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন–সুবিধা পাননি যাত্রীরা। সৌদি আরবেই সার্ভার ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে সৌদি আরবের পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন শাহজালাল বিমানবন্দরে করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কিছু করার নেই। কারিগরি ত্রুটি বাংলাদেশ ছাড়াও একাধিক দেশে হয়েছে বলে জানান তিনি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অন্য এক কর্মকর্তা জানান, শাহজালালে পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন না হলেও ইমিগ্রেশনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কার্যক্রম যেমন হাতের ১০ আঙ্গুলের ছাপ, পাসপোর্ট স্ক্যান, ছবি উঠানোসহ অন্য কাজগুলো করা হয়েছে। ফলে জেদ্দায় হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশনে খুব বেশি সময় লাগবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে বুধবার রাত ৩টায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ইনামুল বারীসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় হজযাত্রীদের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আজ মোট সাতটি ফ্লাইট হজযাত্রীদের নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এর মধ্যে বিমানের চারটি ও সৌদি এয়ারলাইনসের তিনটি ফ্লাইট রয়েছে। এসব ফ্লাইটে মোট ২ হাজার ৬০০ হজযাত্রীর ঢাকা ছাড়ার কথা।

সার্ভার ত্রুটির বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই সমস্যা আরও কয়েকটি দেশে হয়েছে। আজকের পরবর্তী ফ্লাইটগুলোয় যেন এ সমস্যা না হয়, সে জন্য কাজ চলছে।

উল্লেখ, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের বেশির ভাগই বয়স্ক নাগরিক। হজের উদ্দেশে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছানোর পর তাদের মালামাল সংগ্রহ ও ইমিগ্রেশন–প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। সাত থেকে আট ঘণ্টা ধরে ইমিগ্রেশন–প্রক্রিয়া শেষ করে তারা মালামাল নিয়ে ওখানকার নির্দিষ্ট স্থানে ওঠেন। সৌদি আরবে হজের সময় সারা বিশ্ব থেকে অসংখ্য মানুষ আসেন। ফলে, ইমিগ্রেশনের ওপর চাপ পড়ে। সব বিবেচনা করে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন–প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করার সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য সৌদি আরব থেকে প্রতিনিধিদল এসেছে, তারা বিমানবন্দরের নির্দিষ্ট কাউন্টারে বসেছে।


   আরও সংবাদ