প্রকাশ: ৭ জানুয়ারী, ২০২০ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
নারায়ণগঞ্জ থেকে শাওন : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে চুলার গ্যাস লাইনে লিকেজ থেকে গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়ে আগুনে শরীফ ও ফরিদা নামে এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোর ৬টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার কায়েমপুর এলাকায় মুফতি নজরুল ইসলামের তিনতলা বাড়ির নিচ তলায় এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে দগ্ধ ফরিদার অবস্থা আশংকাজনক বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়িটির নিচ তলায় কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। উপরের দুই তলা, তিন তলা ও ছাদে টিনের ঘর তৈরি করে সেখানে জামিয়া দারুস সালাম নামে একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন বাড়ির মালিক মুফতি নজরুল ইসলাম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ভোরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে চাইলেও বাড়ির ম্যানেজার আঃ ওহাব মিয়া কাউকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করতে দেন নি।
এসময় দগ্ধ ফরিদার চিৎকার শোনা গেলে ম্যানেজারের উপর লোকজন ক্ষেপে উঠলে তিনি বাড়ির গেইট খুলে দেন। তখন আশপাশের লোকজন গিয়ে দগ্ধ স্বামী-স্ত্রীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়।
স্থানীয় লোকজন আরো জানান, যে ঘরে বিস্ফোরণ ঘটেছে সে ঘরটিতেই গ্যাসের চুলো। ঘরে গ্যাস লিকেজ হতো অনেক আগে থেকেই বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজার জানলেও কোন সমাধান করেনি। যার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ফরিদার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার স্বামী শরীফের সামন্য দগ্ধ হয়েছে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা নেই। সে বিষয়টি চিকিৎসকরা বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চূলার পাইপে লিকেজ থাকতে পারে। সেই লিকেজ থেকে সারা রাত গ্যাস বের হয়ে জমাট বেঁধে থাকে। ভোরে রান্না করার জন্য চুলায় আগুন দিলে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বাড়ির মালিকের কোন গাফিলতি আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি মালিকপক্ষের কোন গাফিলতি পাওয়া যায় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।