ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে ঢাকার ইরান দূতাবাস


প্রকাশ: ৪ জানুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে ঢাকার ইরান দূতাবাস

   

কুটনৈতিক প্রতিবেদক : জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মতো স্বাধীনচেতা ব্যক্তি ও অন্য শহীদদের রক্তে যারা নিজেদের হাত রঞ্জিত করেছে, তাদের জন্য কঠিন প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে ঢাকার ইরান দূতাবাস।

রোববার (৫ জানুয়ারি) ইরান দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির প্রতি সম্মান জানিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে। 

জেনারেল সোলাইমানি শুধু ইরানি জনগণের নয়, বরং তিনি বিশ্বের সব মুসলমান এবং নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের মর্যাদা ও গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। মার্কিনিরা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাতের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে দিতে বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে ইরানের কুদস ব্রিগেডের এই কমান্ডারকে হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে তারা ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে, আন্তর্জাতিক রীতি-নীতি পদদলিত করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করতে চেয়েছে। এই জঘন্য অপরাধের হোতারা দাঁতভাঙ্গা জবাব পাবে।’

ইরান দূতাবাস জানায়, ‘কাসেম সোলাইমানি ইসরায়েল, আল কায়েদা ও আইএস জঙ্গিদের জন্য দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিলেন। তিনি ইরাক ও সিরিয়াকে আইএসের হাত থেকে মুক্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তার একমাত্র অপরাধ ছিল, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লালিত জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস নির্মূলে আপোসহীন ভূমিকা রেখেছেন। 

এতে কোনও সন্দেহ নেই যে, এই শহীদের পবিত্র রক্ত প্রতিরোধ-সংগ্রামকে আগের চেয়ে বেগবান করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাংদেহী নীতি অকার্যকর করতে সাহায্য করবে।’

জেনারেল কাসেম সোলাইমানি তার পুরো জীবন আল্লাহর রাস্তায় নিবেদিত করেছেন। নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ও সংগ্রামের জন্য শাহাদতের উচ্চমর্যাদা তার প্রাপ্য ছিল।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনায় যারা শাহাদত বরণ করেছেন, বিশেষ করে শহীদ জেনারেল সোলাইমানি ও শহীদ আবু মাহদি আল-মুহান্দিসের নাম অনন্তকাল বিশ্বের স্বাধীনচেতা মানুষের মনে অমর হয়ে থাকবে। আর এই অপরাধের হোতারা চিরদিন ইতিহাসে ধিকৃত হবে।


   আরও সংবাদ