ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চৌগাছায় প‌তিত জ‌মি‌তে মে‌টে আলুর চাষ ক‌রে স্বাবলম্বী হ‌চ্ছে কৃষক


প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৩:০০ অপরাহ্ন


চৌগাছায় প‌তিত জ‌মি‌তে মে‌টে আলুর চাষ ক‌রে স্বাবলম্বী হ‌চ্ছে কৃষক

   

য‌শোর থে‌কে খান সা‌হেব : যশোরের চৌগাছায় প‌তিত জ‌মি‌তে মে‌টে আলুর চাষ ক‌রে স্বাবলম্বী হ‌চ্ছে কৃষক। প্রথম ক‌য়েকবছর অল্প প‌রিমা‌ণে চাষ হ‌লেও চল‌তি মওসু‌মে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ‌মেটে আলুর চাষ। 

উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে  ব্যাপকহারে হাইব্রিড জাতের মেটেআলুর চাষ হয়েছে। অন্য যে কোন ফসলের তুলনায় মেটে আলুর চাষে খরচ কম হলেও লাভ বেশি এবং বাজারে যথেষ্ঠ চাহিদা থাকায় মাঠের পর মাঠ কৃষকরা মেটে আলুর চাষ করেছেন। চলতি মৌসুমে মেটেআলুর বাজারমূল্য ভাল থাকায় লাভবান হবেন কৃষকরা এমন‌টি আশা কর‌ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় মাছরাঙ্গা, হরিণপিলি ও মসে জাতের মেটেআলুর চাষ হয়েছে ২শ ৪০ হেক্টর জমিতে। শস্যভান্ডার ও কৃষিবান্ধব নামে খ্যাত চৌগাছা উপজেলা। ধান, পাট, আখ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ভুট্টা, গমের পাশাপাশি সকল প্রকার সবজি চাষের জন্য এ উপজেলা বরাবরই বিখ্যাত। 

এ অঞ্চলের কৃষকরা যখন যে ফসলে বেশি লাভ হয় তখনই ওই ফসল ফলাতে বেশ অভ্যস্ত। গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপকহারে মেটেআলু চাষ করছেন এ জনপদের কৃষকরা। এক সময়ে উপজেলার কৃষকরা শখ করে মেটেআলুর চাষ করতেন। কিন্তু বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন বেশি হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে চৌগাছার হাজরাখানা, পেটভরা, বেলেমাঠ, টেংগুরপুর, কংশারীপুর, জিওলগাড়ী, আন্দারকোটার গ্রামাঞ্চলের মাঠে ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়েছে মেটেআলুর।

তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের চাষি আজগর আলী জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে দেশি প্রজাতির মেটেআলুর চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ১ লাখ টাকার মেটেআলু বিক্রি করবেন। একই গ্রামের আব্দার আলী, আব্দুর রাজ্জাক ১ বিঘা, আলিম ১ বিঘা, আইজেল ১ বিঘা, সনু ১ বিঘা জমিতে মেটেআলুর চাষ করেছেন। 

এছাড়া বাঘারদাড়ি, পেটভরা, পাঁচনামনা, ইছাপুর, স্বরুপদাহ, কদমতলা, পাতিবিলা, নারায়ণপুর, মুক্তদাহ, তেঘরি, মির্জাপুর, জগদীশপুর গ্রামের মাঠগুলোতে মেটেআলুর চাষ করা হয়েছে।

কৃষকরা জানান, ১ বিঘা জমিতে মেটেআলুর চাষ করলে খরচ হয় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে ১ বিঘা জমিতে ৯০ থেকে ১শ মণ মেটেআলু পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে ৬০/৭০ টাকা কেজিদরে মেটেআলু বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ৫০/৬০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। তাই দিন দিন কৃষকরা মেটেআলু চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচউদ্দিন জানান, এ উপজেলাতে মেটেআলুর চাষ বাণিজিকভাবে শুরু হয়েছে। চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকের সার্বিক সহযাগিতায় কৃষি অফিস যথাযথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


   আরও সংবাদ