প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ ইউনিট কাজ করছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিমানবন্দরে উদ্ধার সহায়তায় ঘটনাস্থলে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক হাজারের বেশি সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও বিমানবন্দরে কর্মরত আনসার সদস্যরা সম্মিলিতভাবে আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র উপপরিচালক আশিকুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ১৭জন সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৯ জনের অবস্থা গুরুত্বর। সিটি ব্যাংকের বুথ থেকে ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে।
উপপরিচালক আশিকুজ্জামান জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্বে নিয়োজিত আনুমানিক এক হাজার আনসার সদস্য ঘটনাস্থলে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছেন। এ সময় কর্তব্যরত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ১৭জন আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এবং ৯ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ২টা ৩৪ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয় চারটি ইউনিট। একে একে ঘটনাস্থলে ৩৬টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমপোর্ট কার্গো এলাকার ৮ নম্বর গেটের পাশে বিভিন্ন কোম্পানির আমদানিকৃত কেমিক্যাল, গার্মেন্টস, ইলেকট্রনিকস ও মেশিনারিজ পণ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম সমকালকে জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৬টি ইউনিট কাজ করছে। আরও ৫টি ইউনিট পথে রয়েছে।
আনসারের উত্তর জোন কমান্ডার গোলাম মৌলাহ তুহিন জানান, আনসার সদস্যরা অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক মুহূর্তেই আগুন দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও সাহসিকতার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ঘটনাটির সার্বিক তদারকি করছে এবং আহত সদস্যদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে।