প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মসজিদ-উত-তাকওয়া ধানমন্ডি সোসাইটি নানা মাত্রিক আয়োজনে মহানবী (সা.) এর সিরাত উপস্থাপনের যে প্রয়াস চালিয়েছেন সেটা অনন্য। মহানবী (সা.)-এর সিরাতের প্রামাণ্য উপস্থাপন মানুষের অন্তরে প্রোথিত থাকবে।
আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে মসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটি আয়োজিত সিরাত আয়োজন ২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, কেবল শ্রবণের মাধ্যমে আমরা যে জ্ঞান অর্জন করি সেটার স্থায়িত্ব কম। কিন্তু আমরা যখন একই সাথে দেখি ও শুনি তখন সেটা দীর্ঘসময় আমাদের মনে প্রোথিত থাকে। ধানমন্ডির মসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটি হযরত (সা.)-এর বসতঘর, ব্যবহার্য জিনিসপত্র, প্রিয় খাদ্যদ্রব্য, স্মৃতি বিজড়িত স্থানসমূহ প্রতীকী আয়োজনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছে। এর ফলে মহানবী (সা.) এর সিরাত সম্পর্কে জনসাধারণের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হবে। এছাড়া তাঁর সিরাত সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বোত্তম আদর্শের অধিকারী। তাঁর চরিত্রে যাবতীয় অনুপম গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছে। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তাঁর সিরাত অনুসরণের মাধ্যমে যাপিত জীবনই সার্থক জীবন। তিনি সকলকে হযরত (সা.) এর সিরাত অনুসরণে জীবন ধারণের অনুরোধ জানান।
মসজিদ-উত-তাকওয়া সোসাইটির সভাপতি বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে মসজিদের খতিব সাইফুল ইসলাম, ডা. এম এ আজিজ, হাসান সহিদ সিদ্দিকী, তাজুল ইসলাম ঢালী, জি এম ফারুক, রিয়াজ আহমেদ সফিউল্লাহ, প্রফেসর মোজাম্মেল হক, মামুন উর রশিদ পারভেজসহ মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, তাকওয়া মসজিদ কমিটি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সিরাত সম্পর্কে জনসাধারণকে ধারণা দেওয়ার মানসে তিন দিনব্যাপী সিরাত আয়োজন করেছিলো। এ আয়োজন এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামীতে আরো বৃহৎ পরিসরে সিরাতুন নবী (সা.) এর আয়োজন করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে উপদেষ্টাদ্বয় মসজিদের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় সিরাত প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রতীকীভাবে মহানবী (সা.) ও হযরত ফাতেমা (রা.) বসতঘর, হযরত মুহাম্মদ (সা.) তৈজসপত্র, পানির মসক, খেঁজুর পাতার ছাউনি, খাট, প্রিয় খাবার প্রভৃতি প্রদর্শন করে আয়োজক কমিটি। এছাড়া, সিরাত বই প্রদর্শনী, সিরাত আলোচনা, নাশিদ সন্ধ্যা, শিশুতোষ আলোচনা, নারীদের জন্য বিশেষ হালাকা, নবীজির সুবাস, রং তুলিতে নবীজির শহর, ফুড অব প্রফেট (সা.), বায়োগ্রাফি অব প্রফেট (সা.) শিরোনামে প্রতিযোগিতা ও থ্রিডি এনিমেশন শো'র ব্যবস্থা করা হয়।