প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : হত্যা মামলায় ‘নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে পেশাগত অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে চার্জ গঠন পর্যায়ে মামলা হতে অব্যাহতি দিয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন। যা বেআইনী এবং ন্যায় বিচারের পরিপন্থী’।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এ রায় প্রকাশিত হয়।
২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি নড়াইলের কালিয়ায় এনামুল শেখকে হত্যার ঘটনায় এক আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন বাতিল করে এক রায়ে এমন অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২৮ আগস্ট এ রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ।
রায়ে বলা হয়, তর্কিত আদেশ পর্যালোচনায় প্রাথমিক ভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, নড়াইলের দায়রা জজ এজাহার ও অভিযোগপত্রে আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, যা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন দ্বারা সমর্থিত, আসামি কর্তৃক দাখিলকতৃ আত্মপক্ষ সমর্থনে কৈফিয়তের কাগজাদি/বক্তব্য বিবেচনায় নিয়ে আসামিকে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে মামলা হতে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
‘আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনে কৈফিয়তের কাগজাদি বিবেচনায় নিয়ে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান কোন ভাবেই আইন সংগত নয় এবং প্রচলিত আইন এবং সুপ্রতিষ্ঠিত আইনি নীতির সুস্পষ্ট লংঘন। একজন দায়রা জজের নিকট এ ধরনের আদেশ প্রত্যাশিত নয়’।
রায়ে আরো বলা হয়, ‘আদালতের আগের নজিরসমূহ নিবিড় ভাবে পর্যালোচনা করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এজাহার বা অভিযোগপত্রে আসামীর নাম উল্লেখ থাকলেই যেমন যান্ত্রিকভাবে অভিযোগ গঠন করা সমীচীন নয়। তেমনি কোন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক/আপাত যথার্থতা থাকলে অভিযোগ গঠন পর্যায়ে তাঁকে অব্যাহতি দেয়ারও কোন সুযোগ নেই।
অভিযোগ গঠন পর্যায়ে আসামির বিরুদ্ধে আনিত আপাতদৃষ্ট অভিযোগটি সত্য কিংবা মিথ্যা তা নির্ধারণ করার সুযোগ নেই। সেটি নির্ধারণ হবে বিচার প্রক্রিয়ার শেষে উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে।’
আদালত রায়ে বলা হয়, আমাদের সুচিন্তিত অভিমত এই যে, সাময়িক ভাবে হলেও নড়াইলের দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের দায়রা মামলা সংক্রান্ত বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ স্থগিত করা প্রয়োজন।