প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:১৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস তল্লাশীর সময় আবুল বাসার ব্যাপারী নামে এক যাত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সকালে বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার পুনাইখার কান্দি গ্রামের ওমর আলী বেপারীর ছেলে বিমানবন্দরে নিহত যাত্রী আবুল বাসার। তিনি বসুন্ধরা শপিং মলে সিয়াম ইলেকট্রনিক্স ও ফোন স্টুডিও মোবাইল শোরুমে চাকরি করতেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে না চাওয়া পুলিশ লাশ হস্তান্তর করেছে। রাতেই গ্রামের বাড়ি পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হবে বাসারকে।
বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাত ২টায় দুবাই থেকে ছেড়ে আসা এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করেন আবুল বাসার ব্যাপারী। ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিক শেষে লাগেজ নিয়ে বিমানবন্দর কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল পার হওয়ার কাস্টমস তল্লাশীর মুখে পড়েন তিনি। এসময় লাগেজে শুল্কযুক্ত পণ্য থাকার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কাস্টমস কর্মীরা। এ সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে উদ্ধার করে তাকে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে নিহত বাসারের চাচা আনোয়ার হোসেন ব্যাপারী সমকালকে জানান, দুবাই থেকে দেশে ফিরে আবুল বাসার বিমান থেকে নামার পর গ্রীন চ্যানেল দিয়ে বের হওয়ার সময় কর্তব্যরত কাস্টমস কর্মকর্তারা তাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মালামাল একাধিকবার স্ক্যান করে তারা। সন্দেহজনক কিছু না থাকার পরও তাকে টেবিলে নিয়ে চেক করেন কাস্টমস। এসময় তার সঙ্গে দুইটি মোবাইল পেয়ে বাসারকে ভয়-ভীতি দেখান কাস্টমস কর্মীরা। এছাড়া মানসিকভাবে টর্চার করে তারা। তার কাছে টাকা দাবি করেন সংশ্লিষ্ট কাস্টম কর্মকর্তারা। টাকা না দিলে তাকে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হুমকি দেন। চাপ সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আবুল বাসার। পরে তাদের গাফলিতির কারণে বাসারের ব্রেন স্ট্রোকে মৃত্যু হয় বলে একটি ক্ষুধে বার্তায় এ তথ্য জানান আনোয়ার হোসেন।
বিমানবন্দর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাফসেকের এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, বিমানবন্দর গ্রীন চ্যানেল এলাকায় কাস্টমস তল্লাশীকালে গুরুতর অসুস্থ্য হন দুবাই ফেরত যাত্রী আবুল বাসার। এ সময় দ্রুত কুর্মিটোলা হাসাপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার মশিউর রহমান সমকালকে বলেন, বিমানবন্দর গ্রীন চ্যানেল এলাকায় যাত্রী আবুল বাসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কর্তৃব্যরত কর্মকর্তারা। তবে তার লাগেজ খোলা হয়নি। কিন্ত তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এ সময় উদ্ধার করে তাকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।