প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত আরও দুই শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন ১৭৫জন। তার মধ্যে ৩৬জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ১১জন শিক্ষার্থী জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া ১২৮জন বিভিন্ন সময় চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন।
আজ শনিবার জাতীয় বার্ন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন দগ্ধ শিক্ষার্থী মো. রাইয়ান (১৪) ও হাফসা খাঁন (১১)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আলভিরা (১০), সামিয়া (১০) ও নুসরাত (১২) নামে আরও তিন শিক্ষার্থী বাসায় ফিরেছেন।
গত ২১ জুলাই দুপুরের দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিধ্বস্ত হয়। সস্ত্রশ বাহিনীর তৎপরতায় উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
গতকাল সন্ধ্যায় ছাড়পত্রের বিষয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, দগ্ধ দুই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। রাইয়ান মাইলস্টোন স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তার শরীরে ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়। তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী হাফসা খাঁনের শরীরে ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়।
তিনি জানান, জাতীয় বার্নে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে এখন পর্যন্ত ২৫জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এখানও ১১জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের সবার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। আশা করছি, অন্যান্য যারা ভর্তি রয়েছে তারাও শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। যাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে তারা পরবর্তীতে এখানে এসে চিকিৎসা নিতে পারবেন।
সার্জন শাওন বিন রহমান জানান, মালিস্টোনের ঘটনায় জাতীয় বার্নে ভর্তি হয় ৫৬ জন। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু এবং ২৫ জনকে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে ১১জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অপারেশন করা লেগেছ। যার কারণে সুস্থ হতে একটু সময় নিচ্ছে।
আহতদের ১৭৫ জনকে ১০টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরমধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত আটজন, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৫৬জন, ঢাকা মেডিকেলে তিনজন, সিএমএইচ-ঢাকায় ২৮জন, লুবনা হাসপাতালে ১৩জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৬০ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে একজন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে একজন, ইউনাইটেড হাসপাতালে দুইজন ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তিনজনকে নেওয়া হয়।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় বার্নে ২০জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১৪জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও ইউনাইটেড হাসপাতালে লিমিটেডে একজনের মৃত্যু হয়েছে।