ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

এবার গ্রেপ্তার সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু


প্রকাশ: ২৬ অগাস্ট, ২০২৪ ১০:৫২ পূর্বাহ্ন


এবার গ্রেপ্তার সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরার এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান সমকালকে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় হাসানুল হক ইনুসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদ। দলটির তিনবারের সভাপতি ইনু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষসহিংসতার ঘটনায় করা সাম্প্রতিক কয়েকটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ অভিযোগে ২২ আগস্ট ইনুসহ অন্যদের আসামি করে একটি মামলা হয়। জিয়াউল হক নামে এক আইনজীবী বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন। মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননকেও আসামি করা হয়। ইতোমধ্যে বিচারপতি মানিক ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মেননকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে সিলেটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত এক ছাত্রদল নেতা। সেখানেও ইনুকে আসামি করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ–সহিংসতার ঘটনায় করা মামলাগুলোয় এপর্যন্ত বেশ কয়েকজন রাজনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন– ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।

এছাড়া বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মদ সোহায়েল। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এ পর্যন্ত অন্তত ১৩ রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পুলিশ।


   আরও সংবাদ