A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120

Filename: mysqli/mysqli_driver.php

Line Number: 201

Backtrace:

File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct

File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once

ব্যক্তিগত দন্দ্বে থেকে গ্রুপে টিটু হত্যা, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকা, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১ শ্রাবণ ১৪২৯, ৩ রমজান ১৪৪৪

ব্যক্তিগত দন্দ্বে থেকে গ্রুপে টিটু হত্যা, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার


প্রকাশ: ২৪ জুন, ২০২২ ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন


ব্যক্তিগত দন্দ্বে থেকে গ্রুপে টিটু হত্যা, পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কদমতলী থানার আউটার সার্কুলার রোড এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও কবুতর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হুমায়ুন কবির ওরফে টিটুকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রসী ওই গ্রুপটি। কিলিং মিশনে অংশ নেন সোহাগ ওরফে বড় সোহাগ, মামুন ও রবিন শেখ বলে জানিয়েছেন র‌্যাব।

গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর আয়নাবাজ সোহাগের অন্যতম সহযোগী কদমতলীর টিটু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১০ বছর ধরে পলাতক আসামী রবিন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান এতথ্য জানান।

র‌্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান বলছে, কদমতলীর নোয়াখালী পট্টি এলাকার বাসিন্দা টিটুর সঙ্গে এলাকার আধিপত্য, কবুতর ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনজনের সঙ্গে আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তিনজন পরিকল্পিতভাবে টিটুকে হত্যা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী টিটুকে গুলি করেন সোহাগ, অস্ত্র কেনার টাকা দেন ও ঘটনাস্থলে টিটুকে অনুসরণ করেন মামুন শেখ এবং গুলিতে হত্যা নিশ্চিত করতে টিটুকে ঝাপটে ধরেন রবিন শেখ।

মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে গত ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর হুমায়ুন কবির টিটুকে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলি ভুক্তভোগী টিটু-র মাথার ডান পার্শ্বে লেগে গুরুতর আহত হয়। পরে আহত টিটুকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে সোহাগ বড় সোহাগ, মামুন ও রবিন শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করা হয়। 

মেজর শাহরিয়ার বলেন, রবিন শেখ বিগত ২০১০ সালে টিটু হত্যা মামলার ৩নং আসামী হিসেবে গ্রেপ্তার হয়। পরে ২০১২ সালে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে আত্মগোপনে চলে যায়। তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন রবিন। ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর আসামী রবিন শেখের অনুপস্থিতিতে আদালত রায় প্রকাশ করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রবিন ওই হত্যাকান্ডের সময় নবাবপুর এলাকায় একটি ওয়ার্কশপে কাজ করত। ২০১২ সালে জামিনে মুক্তি লাভের পর সে নিজেকে লুকিয়ে রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিথ্যা পরিচয় দিয়ে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করেছে। পরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরাবো এলাকায় অটো-ড্রাইভার সেঁজে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এখন পর্যন্ত নিজেকে আত্মগোপন করে রেখেছিল।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আসামী রবিন ও আয়নাবাজ সোহাগ একই এলাকায় পাশাপাশি বাসায় বসবাস করত। সেই সুবাদে রবিনের সাথে মামুন ও সোহাগের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। যার ফলে রবিন সোহাগের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করত বলে জানা যায়।
 
চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারিতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল মিডফোর্ড হাসপাতাল আয়নাবাজ সোহাগ ও ১০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন মেঘনা ঘাট এলাকা থেকে পলাতক আসামী মামুন। আর ওই মামলার আরেক পলাতাক আসামি রবিনকে আজ রুপগঞ্জ থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০।


   আরও সংবাদ