প্রকাশ: ২৩ জুন, ২০২২ ২৩:২৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকে পথচারীদের মোবাইল। এসব মোবাইল স্বল্পদামে চোরাই মোবাইল কারবারীদের কাছে বিক্রি করা হয়। আর এসব চোরাই মোবাইলের মূল ক্রেতা মূলত স্বল্প আয়ের শ্রমজীবি মানুষ। আইএমইআই পরিবর্তন করার কারনে এসব মোবাইল পরে উদ্ধার করাও সম্ভব হয় না।
গতকাল রাতে রাজধানীর বনানী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে চুরি ও ছিনতাই করা অবৈধ মোবাইল কারবারি চক্রের মূলহোতাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ এতথ্য জানান।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা রাজধানীসহ নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অবৈধ মোবাইল কেনা-বেচার বাণিজ্য নিয়ে তৎপর রয়েছে। এছাড়া মোবাইল ফোন বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ভাসমান দোকানে গোপনে সেসব মোবাইল বিক্রি করে। তাছাড়াও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সাথে যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাই করা মোবাইল ফোন কেনা বেচায় জড়িত রয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- চক্রের মূলহোতা আবুল হোসেনসহ তার সহযোগী নজরুল ইসলাম, তাজুউদ্দিন আহম্মেদ, মাঈনউদ্দিন, সুজন মিয়া, মানিক ও লিটন মিয়া। এসময় তাদের কাছ থেকে ট্যাব ৬৫টি, টাচ মোবাইল ১ হাজার ১৫টি, বাটন মোবাইল ৩১৭টি, সীমকার্ড ৬টি ও নগদ ২০ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ছিনতাইকারী ও চোর চক্রের সদস্যরা কৌশলে নানা সিন্ডিকেট হোতার সাথে যোগসাজশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি এবং ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন স্বল্পদামে ক্রয় করে। পরে সেগুলো সিদ্ধিরগঞ্জ ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ভাসমান দোকানে বিক্রি করে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মূলত ছিনতাই ও চোরাই করা মোবাইল ফোন অল্প দামে ক্রয় করে মোবাইলের আইএমইআই নাম্বার পরিবর্তন করে সুযোগ বুঝে বেশি দামে বিক্রি করে থাকে। অপরাধীরা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোন ছিনতাই ও চোর চক্রের সাথে যোগসাজশে চোরাই ও ছিনতাইকৃত মোবাইল ক্রয় ও বিক্রয়ের অবৈধ ব্যবসা করে আসছে।
আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের শিকার ভিক্টিমদের মোবাইল ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত অবৈধ মোবাইল কারবারিদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। এদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে সকলের মাঝে সচেতনতা তৈরী হবে বলে মনে করেন র্যা বের এই কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানী বনানী ও নারাণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।