Severity: Warning
Message: mysqli::real_connect(): Headers and client library minor version mismatch. Headers:100324 Library:30120
Filename: mysqli/mysqli_driver.php
Line Number: 201
Backtrace:
File: /home/bnnews24/public_html/application/controllers/SS_shilpi.php
Line: 6
Function: __construct
File: /home/bnnews24/public_html/index.php
Line: 316
Function: require_once
প্রকাশ: ১২ জুন, ২০২২ ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের দখলকৃত দুই শহরে স্থানীয় বাসিন্দাদের রুশ পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মস্কো। সর্বপ্রথম দখলে নেওয়া শহর দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন এবং মেলিতোপোলে এভাবে নাগরিকদের পাসপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন। খবর বিবিসির।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন খুব দ্রুততার সঙ্গেই পাসপোর্ট হস্তান্তরের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়। রুশ সংবাদ সংস্থা তাস বলছে, শনিবার এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৩ জন খেরসনের অধিবাসীকে প্রথম রাশিয়ান পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
সংবাদ সংস্থাটি বলছে, রাশিয়ান পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য হাজার হাজার ইউক্রেনিয়ান নাগরিক আবেদন করেছে। তবে নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে তাদের এই দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার নিযুক্ত সামরিক গভর্নর ভলোদোমির সালদো বলেছেন, খেরসনে আমাদের সকল কমরেড যত দ্রুত সম্ভব (রাশিয়ান) পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্ব পেতে চান।
এদিকে রাশিয়ার এমন কার্যক্রমকে নিজেদের আঞ্চলিক অখণ্ডতার ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে ইউক্রেন এর কঠোর সমালোচনা করেছে। ইউক্রেন বলছে, পুতিনের এই আদেশ আইনত অবৈধ।
এর আগে রাশিয়া ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করেছে। দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে পছন্দমতো ‘গনপ্রজাতন্ত্রে’ পরিণত করেছে। রাশিয়ার এসব পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষ এখন আশঙ্কা করছে যে, এবারের হামলার পর দখল করে নেওয়া অঞ্চলগুলোতেও একই প্রক্রিয়া চলছে। স্থানীয়রা একবার রাশিয়ার নাগরিক হয়ে গেলে, তাদের ‘নিরাপত্তা’ দিতে হবে ক্রেমলিন এমন দাবি করতে পারবে।
অন্যদিকে খেরসনে ইউক্রেনের মুদ্রা হারিভনিয়ার বদলে রাশিয়ান রুবল ব্যবহারের আদেশ অমান্য করছে ইউক্রেনের নাগরিকরা। ইউরোপের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মেলিতোপোলের বেশিরভাগ অঞ্চল এখন রুশ সেনাদের দখলে।
ক্রিমিয়া এবং দখলীকৃত ডনবাস অঞ্চলে রুবল ব্যবহারে বাধ্য করেছে রাশিয়া। স্থানীয় স্কুলগুলোতে রাশিয়ার শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে কিয়েভের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। নতুন করে দখল করা এলাকাতেও একই কাজ করছে রাশিয়া। ডনবাস ও সেভেরোদোনেৎস্ক অঞ্চলে ভয়াবহ লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
লুহানস্ক অঞ্চলে কিয়েভের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের সেনারা এখনো আজট রাসায়নিক প্ল্যান্টসহ সেখানকার শিল্পাঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তবে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের গভর্নর বলছেন, রাশিয়ার ক্রমাগত বোমা হামলার জবাব দিতে গিয়ে ইউক্রেনের সেনাদের সামরিক রশদ ফুরিয়ে আসছে।
মাইকোলাইভ অঞ্চলের ভিতালি কিম বলেছেন, রুশ সেনাবাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের কাছে যত দ্রুত সম্ভব দূরপাল্লার কামান এবং গোলাবারুদ সরবরাহ করার আহবান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেনের সদস্যপদের বিষয়ে কথা বলতে প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিন।
তিনি বলেছেন, আপনারা আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য অনেক কিছু করেছেন কিন্তু এখনও বেশ কিছু সংস্কারের প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে ইইউ আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেবে। যা ইইউ সদস্য হওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ।
যুক্তরাজ্যের সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে স্থল হামলায় রাশিয়া ভারী জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত ভুল কাজ। তারা মনে করছেন যে, রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্ত সম্পন্ন অস্ত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।