প্রকাশ: ১০ জুন, ২০২২ ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে ওই ব্যক্তি জানান সেখানে ড্রেনের ভিতর কয়েকটি শিশু আটকা পড়েছে। তিনি শিশুদের কান্নাকাটি ও বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলেন। ড্রেনের ছোট্ট একটি ফোকর দিয়ে তিনি কান্নারত এক শিশুকে দেখতে পেয়েছেন, তার থেকে জানতে পেরেছেন ড্রেনের ভিতরে তার সাথে আরো দুই শিশু রয়েছে।
গত বুধবার বিকালে জাতীয় জরুরি পরিষেবা-৯৯৯ এর মিডিয়া অফিসার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, ৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল মোসাম্মৎ ফাতেমা আক্তার কলটি গ্রহণ করেন। কনষ্টেবল ফাতেমা তাৎক্ষণিকভাবে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার জন্য অনুরোধ জানায়। পরে ৯৯৯ ফায়ার ডিসপাচার ফায়ার ফাইটার আল আমিন কলার ও সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে যশোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ড্রেনে নামার আর কোন পথ না থাকায় ঢালাই করা ড্রেনের কংক্রিট স্ল্যাব ভাঙ্গে ফেলে। এসময় ড্রেনে বিষাক্ত গ্যাস থাকার ঝুঁকি উপেক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস উদ্ধারকারীরা ড্রেনে নেমে প্রথমে এক কিশোর উদ্ধার করে। পরে ড্রেনের ভেতর অর্ধ কিঃমিঃ দূর থেকে আরো দুই শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে তারা।
ড্রেনটির উচ্চতা সাত ফুট প্রস্থ তিন ফুট এবং দৈর্ঘ্য দুই কিমিঃ বলে জানা যায়। শিশু তিনটি মাছ ধরার জন্য ড্রেনে নেমেছিল, হাঁটতে হাঁটতে এক পর্যায়ে অনেক দূর চলে আসার পর অন্ধকার ড্রেনের ভেতর তারা দিক ও পথ হারিয়ে ফেলে বলে জানা যায়।
ফায়ার সার্ভিস দলের নেতৃত্বে থাকা সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার ৯৯৯ কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।