ঢাকা, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ জৈষ্ঠ্য ১৪৩১, ৯ শাবান ১৪৪৬

কুবিতে ছাত্রলীগের নেতাকে চিনতে না পারায় মারধরের শিকার শিক্ষার্থী  


প্রকাশ: ২২ মার্চ, ২০২২ ০০:৫০ পূর্বাহ্ন


কুবিতে ছাত্রলীগের নেতাকে চিনতে না পারায় মারধরের শিকার শিক্ষার্থী  

কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) হল শাখা ছাত্রলীগের  নেতাকে চিনতে না পেরে তুমি বলায় মারধরের শিকার হন এক সাধারণ শিক্ষার্থী।  সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের সেলিম মিয়ার দোকানে চা পান করতে গেলে ১৩ তম ব্যাচের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আনিছুর রহমানকে পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। পরিচয়ের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতাকে চিনতে না পেরে তুমি বলে সম্বোধন করেন আনিছুর। 

এসময় ওয়াকিল আহমেদ ও তার বন্ধুরা প্রধান ফটকের সামনের প্রকাশ ফটোস্ট্যাটের পেছনে নিয়ে বেদম মারধর করেন।  মারধরের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী কাকুতি-মিনতি শুরু করে মারধর না করার জন্য। তখন মারধরের মাত্রা আরো বাড়িয়ে চোখে আঘাত করে ছাত্রলীগ নেতা ওয়াকিল। আঘাতে চোখের চশমা পড়ে গেলে সে কিছুই দেখতে পায় না। তার চিৎকার শুনে ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা এসে উদ্ধার করে। পরে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এবিষয়ে ভুক্তভোগী আনিছুর রহমান বলেন, 'আমাকে ওয়াকিল ভাই পরিচয় জিজ্ঞেস করলে আমি আমার পরিচয় দেই। পরে মিরাজ নামের একজনের নাম জিজ্ঞেস করলে, আমি বলি মিরাজ কি তোমার বন্ধু৷ এতে আমার সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়৷ পরে প্রকাশ ফটোস্ট্যাট থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে মারধর শুরু করে।' 

ওয়াকিল আহমেদ বলেন, ঐ ছেলে সিগারেট খেয়ে আমার মুখের উপর  ধোঁয়া ছাড়ে৷ আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার মা-বাবাকে গালি দেয়। এসময় তার সাথে হাতাহাতি হয়। মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারপরে কি হয়েছে আমি জানি না। সে হয়ত দৌড়ে পালাতে গিয়ে চোখে ব্যথা পেয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধর করা অন্যায়। বিষয়টি জেনে আমরা সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। আমরা আগামীকাল প্রক্টরিয়াল টিম বসে ব্যবস্থা নিব। পরে তিনি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখতে যান। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম আবদুল মঈন বলেন, আমি প্রক্টরের সাথে কথা বলেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে যেতে বলেছি। প্রক্টর বিষয়টি জেনে রিপোর্ট দিলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


   আরও সংবাদ

A PHP Error was encountered

Severity: Notice

Message: fwrite(): write of 34 bytes failed with errno=122 Disk quota exceeded

Filename: drivers/Session_files_driver.php

Line Number: 263

Backtrace:

A PHP Error was encountered

Severity: Warning

Message: session_write_close(): Failed to write session data using user defined save handler. (session.save_path: /var/cpanel/php/sessions/alt-php56)

Filename: Unknown

Line Number: 0

Backtrace: