প্রকাশ: ১৬ মার্চ, ২০২২ ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবপাচার চক্রের মূলহোতা সজিবুল ইসলাম (৩৫), থাকেন তুরস্কে। তবে সেখানে বসেই দেশে মানবপাচারের কলকাঠি নাড়ান সহযোগীদের মাধ্যমে। র্যাব বলছে, ওই ব্যক্তি এ যাবত প্রায় একশত’র বেশি মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছে।
গত সোমবার রাতে রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারীর চক্রের ইফতাফ শাহীন (৩৮) ও মিজানুর রহমান (৩২) নামের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে র্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার মিডিয়া সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল কবির এতথ্য জানান।
এএসপি খায়রুল কবীর বলেন, তারা সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্রের মূলহোতা সজিবুল ইসলামের সহযোগী। চক্রটি এপর্যন্ত একশত মানুষকে পাচার করে আট কোটি টাকা আত্মসাত করেছে।
তিনি বলেন, চক্রটি ভুক্তভোগীকে সার্বিয়াতে ৬০ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী ও থাকা-খাওয়া ফ্রি, বাৎসরিক দুইটি বোনাসসহ ভালো কাজের ভিসা আছে বলে প্রলোভন দেখাত। এছাড়া যাওয়ার পরে কোন সমস্যা হলে তারা তাকে তাৎক্ষণিক দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস বলেন, গত বছরের ১৭ নভেম্বর ভুক্তভোগীকে সার্বিয়ার নিয়ে যান। ওই সময় চক্রটি সার্বিয়া যাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী কাছ থেকে ছয় লাখ টাকাও নেন তারা। পরে সার্বিয়া পৌছার পর ওই ভুক্তভোগী দালালদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কোন কাজ পাননি। সেখানে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকা অবস্থায় আবার চক্রটি ভুক্তভোগীকে অবৈধ পথে ইতালি যাওয়ার প্রস্তাব দেয়।
তিনি বলেন, চলতি বছরের গত ৭ মার্চ একটি ফোনের মাধ্যমে ভিক্টিমের স্ত্রী জানতে পারেন, তার স্বামী সার্বিয়াতে মারা গেছেন। তবে কি জন্য মারা গেছে তা বলতে পারেন নি। পরে র্যাবে এসে অভিযোগ দিলে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বীণা রানী দাস বলেন, ওই চক্রটির টার্গেট ছিলো সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষকে থাকা খাওয়াসহ উচ্চ বেতনে উন্নত জীবন-যাপনের প্রলোভন দেখিয়ে দেশি-বিদেশী পাচারকারীদের সহায়তায় অপরাধ করে আসছে।
রাজধানীর রমনা থানায় চক্রের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা করেছে ভুক্তভোগীর স্ত্রী।