ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩২, ১৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

এমপি ছোট মনিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও জমি দখলের অভিযোগ


প্রকাশ: ১২ মার্চ, ২০২২ ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন


এমপি ছোট মনিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও জমি দখলের অভিযোগ

*ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
*জীবন ও জমি রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলের আশেকপুরে এমপি তানভীর হাসান ছোট মনিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা ও জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছে টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের আশেকপুর মৌজার বাসিন্দা মৃত মজিবর রহমানের ছেলে শাহানুর ইসলাম ঠান্ডু। 

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র সাগর-রুনী মিলনয়াতন এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে তিনি এ অভিযোগ করেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করছি এমন খবর পেয়ে সন্ত্রাসীরা বিকেলে আবারো হামলা চলায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহানুর ইসলাম ঠান্ডু বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের আশেকপুর মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে দীর্ঘ প্রায় ৬০বৎসর ধরে বসবাস করে আসছেন। এই মৌজায় তার বাবা নুর মোহাম্মদ মিয়ার কাছ থেকে গত ১৯৬৭ ইং সনে ৪৭৮৬ নং সাব কবলা দলিলে ১৭ শতাংশ ভূমি প্রাপ্ত হন। যার এসএ খতিয়ান নং-১৭৮, এসএ দাগ নং-২৪৬/৩০৩। পরে একই বছরের ১২ডিসেম্বর বায়নাপত্র মূলে আদালতের ডিক্রি প্রাপ্ত হয়ে ৪৮শতাংশ ভূমি ২৪/০৯/১৯৭৮নং ডিক্রিজারী মোকদ্দমা মূলে ১৯৭৮ সালের ২৭ নভেম্বর নালিশী ভূমি রেজিঃ প্রাপ্ত হন। এরপর ১৯৮০ সালে উক্ত ভূমি আদালত যোগে দখল প্রাপ্ত হয়ে স্বপরিবারে ভোগ দখল করছেন।

উল্লেখ্য যে হাল জরিপে নালিশী সিএস দাগ নং ৯১/৯১, এর ১/১ খতিয়ানে রেকর্ড হয়। ঐ রেকর্ড সংশোধনের জন্য টাঙ্গাইলের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুন্যালে ১২৩৮/২০১৬ নং রেকর্ড সংশোধনের মোকদ্দমা আদালতে বিচারাধীন।

তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে টাঙ্গাইল-২ এর সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা তাদের বাড়ি ছাড়া করার পায়তারা করছেন। এর আগে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাংসদ ছোট মনির সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে নিজ বাড়ি হতে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে উক্ত জমি ছাড়ার নির্দেশ দেয় এবং প্রাণ নামের হুমকি দেন।

তিনি বলেন, এই জমি নিয়ে বিরোধে আমার বাবাকে ১৯৮১ সালে হত্যা করা হয়। এই জমি ছেড়ে না দিলে আমার পরিণতি অামার বাবার মতো হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

মামলার অাসামিরা হচ্ছে, আলী হোসেন (৬৫), আব্দুল (৫৭), সবদুল  মিয়া (৫৫), তায়েব আলী (৫০), আরিফ (৪০), শহিদুল ইসলাম (৩০), ফিরোজ মিয়া (৩৪), সোহাগ (২৮), আমিনুল ইসলাম (২৭), রফিকুল ইসলাম (৬০), সাহেদ পারভেজ (৫০),  শাহজামাল (৪০), শামছুদ্দোহা জোয়াদ্দার (৫০), রফিকুল ইসলাম (মনির) (৪০), রাসেল পারভেজ (৬৫), রফিকুল ইসলাম (৪৫), নাজমুল হুদা আকন্দ (৪০),  হজরত আলী (৫৫)।

তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে প্রবেশ করে টিনের বাউন্ডারী বেড়া, লোহার গেইট, ৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ভাঙ্গিয়া ট্রাকে করে লুট করে নিয়ে যায়। এসম বাঁধা দিতে গেলে আমার স্ত্রীকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত আছে।

এ ঘটনায় মামলা করলে আমাকে খুন ও লাশ গুমের হুমকি দেয় দূর্বৃত্বরা। এ বিষয়ে গত ৮ মার্চ টাঙ্গাইল সদর মডের থানায় একটি মামলা করলে সেদিন রাত ১ টার দিকে ঐ সন্ত্রাসীরা আবারো আমার বসত বাড়ি দখল ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলার ঘঠনার সিসি টিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এমপি ছোট মনিরের মদদপুষ্ট  টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসীকিশোর গ্যাং এর প্রধান হোসেন সাদাব অন্তু (মনি) এর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।

এই মামলার আসামীদের প্রথম পাচজন আমার বাবার হত্যা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল খাটে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় পুনরায় হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষ ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগিরা। ফলে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন ভুক্তভোগিরা।


   আরও সংবাদ