প্রকাশ: ৮ মার্চ, ২০২২ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
আবদুল হামিদ: পিরোজপুরের দুরার্ন্ত মেয়ে জয়িতা শিল্পী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অর্নাস-মার্স্টাস শেষ করে ২৭তম বাংলাদেশ সির্ভিল সার্ভিস (বিসিএস) পুলিশ ক্যাডারে ২০১০ সালে মাগুরা জেলায় সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে যোগ দেন তিনি। পরে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের স্টাফ অফিসার টু কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন ডিআর কঙ্গোতে সফল্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। মিশন শেষে দেশে ফিরে যোগ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগে সহকারী কমিশনার (এডমিন শাখায়)। পরে ডিএমপি সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (লিগ্যাল এ্যাফেয়ার্স) হন। এছাড়া ময়মনসিংহ জেলার ডিএসবি, ক্রাইম ও প্রশাসন শাখায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গত বছরের ১৮ মে পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নে (র্যাব) আসেন তিনি। একই বছর ১৭ আগস্ট র্যাব-৪ এর উপ-পরিচালক হন পুলিশ সুপার (এসপি) জয়িতা শিল্পী। প্রশাসনের বিভিন্ন শাখায় গত এক যুগ ধরে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্বে পালনের সময় অর্জন করেছেন ২০১৯ সালে আইজি ব্যাজ। এ ছাড়া অর্জন করেছেন জাতিসংঘ পদক।
বাংলাদেশের গৌর্বত বাহিনী পুলিশ ও র্যাবের বিভিন্ন শাখায় দীর্ঘদিন দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে আসা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়িতা শিল্পী। আজ বৃহস্পতিবার ৮ মার্চ ২০২২ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন ঢাকা টাইমসের সঙ্গে।
বিএন নিউজ-- আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্পর্কে কিছু বলুন...
এসপি জয়িতা শিল্পী: ১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সূতা কারখানায় নারী শ্রমিকরা ভোটাধিকারসহ ১২ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা কাজ এবং ন্যায্য মজুরির দাবীতে আন্দোলন শুরু করে। পর ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কের শিল্পখাতের শ্রমিকরা সুস্থ পরিবেশ, ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি এবং যোগ্য মজুরির জন্য পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। পরের বছর ১৯০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজতান্ত্রিক দল ২৮ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করে। পরে ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। এতে অংশ নেন বিভিন্ন দেশের ১০০ জন নারী প্রতিনিধি। আর ওই সম্মেলনে জার্মানির সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন তখন ৮ মার্চ’কে নারী দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। পরের বছর ১৯১১ সালের ৮ মার্চ জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া ও ডেনমার্কে প্রথম নারী দিবস পালন করা শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয় বাংলাদেশে। ১৯৭৫ সালে বেইজিং সম্মেলনে জাতিসংঘ ৮ মার্চ’কে নারী হিসেবে ঘোষণা করে। এরপর থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো ৮ মার্চ’কে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
বিএন নিউজ-- একজন নারীর সফলতার মূলে কোন বিষয়গুলো সহায়ক ভূমিকা পালন করে? সেক্ষেত্রে পরিবারিক সহযোগিতা কতখানি দরকার বলে আপনি মনে করেন?
এসপি জয়িতা শিল্পী: একজন নারীর সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। পবিবারের সদস্য বিশেষ করে বাবা-মা তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা একজন নারীকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরিবারের পুরুষ সদস্যদের মনোভাবের বিষয়টাও গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ একজন নারীকে শুধু নারী মনে করে নয়, বরং মানুষ মনে করে সুবিধা দেওয়া উচিত।
বিএন নিউজ-- ১৯২০ সালের ৮ মার্চ নারী-পুরুষ সমান অধিকারের জন্য নারীরা আন্দোলন করেছে, আসলে কি এযুগে এসে সমান অধিকার সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? আপনার মতামত কি?
এসপি জয়িতা শিল্পী: ১৯২০ সালের ৮ মার্চ নারী-পুরুষের সমান অধিকারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয় তা এখনো চলমান। আসলে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন, নারীরা পুরুষের তুলনায় বাইরের জগৎ সম্পর্কে কম জানে। তাদেরকে ঘরের বাইরে আনতে হবে। নারীকে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ দেওয়া প্রয়োজন। নারী যেন কোনভাবে বৈষম্যের শিকার না হয়। নারীকে উপযুক্ত কর্মপরিবেশ দিলে নারীরা অবশ্যই ভালো করবে।
বিএন নিউজ-- রাশিয়া, ইউক্রেন ও আফগানিস্তানসহ ২৫টি দেশে ৮ মার্চ সরকারি ছুটি থাকে। আর চীন ও নেপালসহ চারটি দেশে ওই দিনে শুধুমাত্র নারীরা সরকারি ছুটি পেয়ে থাকে। আর বাংলাদেশও যেহেতু দিবসটি পালন করেন সেহেতু ছুটি বিষয়টা নিয়ে আপনি কিছু বলবেন কিনা?
এসপি জয়িতা শিল্পী: সারা বিশ্বের প্রায় ২৫টির মতো দেশে ৮ মার্চ’কে নারী দিবস হিসেবে সরকারি ছুটি পালন করা হয়। এরমধ্যে আফগানিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, বুর্কিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কিউবা, জর্জিয়া, কিউবা, কাজাখিস্তান কিরগিজিস্তান, বেলারুশ, মলদোভা, মঙ্গোলিয়া, মন্টেনিগো, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম ও জাম্বিয়া উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের নারী নেতৃবৃন্দ ৮ মার্চ সরকারি ছুটি নিয়ে ভাবছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছুটির দাবি জানিয়ে আসছেন।
বিএন নিউজ- বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নারী। এরপরেও নারীরা সমাজে অবহেলিত এ বিষয়ে আপনি কি বলতে চান?
এসপি জয়িতা শিল্পী: পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীদের নিজেদের মন মানসিকতা পরিবর্তন করে এগিয়ে আসাটা জরুরী। দীর্ঘদিন গৃহবন্দী থাকায় তারা বাইরের জগৎ সম্পর্কে খুবই কম জানে। তাই কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা জরুরি। নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে। রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে যত বেশি সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে, তত বেশি নারী নেতৃত্ব তৈরি হবে। এই ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে নারীদের নিজেদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। নিজেকে যোগ্য রূপে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্র পথিক। তিনি সব সময়ই নারীদেরকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেন।
বিএন নিউজ- দেশে র্যাবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোর্সে কাজ করছেন, এখানে নারীদের কাজের পরিবেশ কেমন বলে আপনি মনে করেন?
এসপি জয়িতা শিল্পী: র্যাব পুলিশের একটি এলিট ফোর্স। এখানে সবার জন্য একই রকম কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বৈষম্যহীন পরিবেশে নারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পায়। এটি নারী নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিএন নিউজ- র্যাবে নারী ভিকটিমদের জন্য আলাদা কোনো ইউনিট আছে কিনা অথবা সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে কতটা গুরুত্ব দেন?
এসপি জয়িতা শিল্পী: র্যাবে নারী ভিকটিমদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা না থাকলেও যেকোনো স্পর্শকাতর' বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে বিবেচনায় নিয়ে কুইক রেসপন্স করে থাকে। সাইবার ক্রাইম শুধু নয় যেকোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে এলিট ফোর্স র্যাব অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এ জন্য র্যাব সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
বিএন নিউজ- আপনি একজন সফল নারী হিসেবে নারীদের প্রতি আপনার পরামর্শ কি? কিভাবে একজন নারী সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
এসপি জয়িতা শিল্পী: নারীদের মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে। নারীদের নিজেকে সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সুযোগ পেলে নারীরা ভালো করতে পারে, এটি যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও নারী নেতৃত্ব বৃদ্ধি করতে হবে। নারীদেরকেই সব সময় আগ্রহী হয়ে সাহসের সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
বিএন নিউজ- আপনার আজকের সফলতার পেছনে অবশ্যই আপনার বাবা-মা বা অন্য কারো ভূমিকা রয়েছে। তাদের সম্পর্কে যদি কিছু বলুন...
এসপি জয়িতা শিল্পী: একজন নারীর সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার বাবা-মা আমাকে সফল করে গড়ে তুলতে, আগে সাহসী করে তুলেছেন। আমি স্বপ্ন দেখেছি সব সময়ই নিজের পায়ে দাঁড়াতে। ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি সফলতার পেছনে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুন্দর মানসিকতা লালন করা এবং নিজের কর্মের প্রতি ভালোবাসা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা। আমি যখন যে কাজটি করি সেটা সর্বোচ্চ ভালো করার চেষ্টা করি, আমি কখনো পিছিয়ে যাই না। নিজের চেষ্টায় অটল থাকি। প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। সেগুলো কে ডিঙ্গিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। আর সেটাই সফলতা।
বিএন নিউজ- আপনার অবসর সময় কীভাবে কাটে, আপনার শখ ইত্যাদি সম্পর্কে যদি আমাদের পাঠকদের জন্য কিছু বলেন?
এসপি জয়িতা শিল্পী: বিবাহিত জীবনে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করি। আমার জীবন সঙ্গী আমাকে বুঝে। আমার কাজের সমর্থন করে, সহযোগিতা ও উৎসাহ দেয়। আমার অর্জনে সে খুশী হয়। সব ক্ষেত্রে আমার সফলতা কামনা করে। এই উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। পরিবার এবং কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখতে শক্তি যোগায়।
আমি সম্পূর্ণ রূপে একজন সংস্কৃতি জগতের মানুষ। ছোটবেলা থেকে পারিবারিকভাবে সাংস্কৃতিক পরিবেশে বড় হয়েছি। পড়াশোনার পাশাপাশি গান, আবৃত্তি, লেখা-লেখি চর্চা ছিল। এখন নিজেকে কবি বা লেখক হিসেবে পরিচয় দিতে ভালো লাগে। এটি আমার আলাদা একটি সত্তা, ভিন্নজগৎ। যেটি আমার মনের খোরাক।
অবসর তো পাওয়া যায়। তবে যেটুকু সময় পাই আমার সন্তান, পরিবারকে দেওয়ার চেষ্টা করি। এত টানাটানি-এর মধ্যেও কিছু সময় নিজের লেখালেখির জগতে ব্যয় করি। এটি অন্যরকম অনুভূতি। বলে বোঝানো সম্ভব নয়। একেকটি লেখা যেন নতুন জন্ম দেয়।
বিএন নিউজ- সবশেষে আপনার জন্মস্থান, বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া, কর্মজীবন নিয়ে কিছু বলুন...
জয়িতা শিল্পী- আমার জন্ম পিরোজপুর জেলায়। বাবার সরকারি করতেন বিধায় ছোট থেকেই বিভিন্ন জেলা ঘুরে পড়াশোনার পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় পরিবেশে বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার স্কুল যশোর জেলায়, আমার কলেজ শেরপুর জেলায়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্ ডিগ্রী অর্জন করি। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুলিস সাইন্সে মাস্টার্স ডিগ্রী। পরে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ইন ক্রিমিনোলজি এন্ড ক্রিমিনাল জাস্টিজ ডিগ্রি অর্জন করি। শিখে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। শিখছি কর্ম জীবন থেকে। শিখছি মানুষের কাছ থেকে। এ শেখার কোন শেষ নেই।
র্যাবের এই চৌকস অফিসার শুধু বাহিনীর কাজের মধ্যেই সীমা বন্ধ থাকেন নি এসপি জয়িতা শিল্পী। সংগ্রহ করেছেন দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, তুলে এনেছেন দেশের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবহেলায় পড়ে থাকা বীরাঙ্গনাদের কথা। এই কর্মকর্তার লেখা-লেখিতে হাতে খড়ি পুলিশের নিয়ে লেখা বই ‘রাজারবাগে প্রজার পুলিশ’ প্রবন্ধ গ্রন্থ দিয়ে। তবে এবারের একুশে বইমেলায় “পারিজাত প্রকাশনী” নিয়ে আসছে তার (এসপি জয়িতা শিল্পীর) লেখা নবম প্রকাশনা ‘১৯৭১: সম্ভমের স্বাধীনতা’ নামের একটি বই। এছাড়া ‘রাজারবাগে প্রজার পুলিশ’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য লেখক ও প্রাবন্ধিক সম্মাননা-২০১৭, ‘উড়াল পাখি মন’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ‘উদীয়মান কবি, সম্মাননা-২০১৮ ও ‘নিষ্পাপ নক্ষত্র’ কাব্যগ্রন্থে জন্য ‘বিশিষ্ট কবি ও গবেষক’ সম্মাননা-২০২০ অর্জন করেছেন তিনি।
এসপি জয়িতা শিল্পী: শেষ কথা, কাজ করে যেতে চাই মানুষের জন্য, মানবতার জন্য। আর সবার কাছে দোয়া চাই।