প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ২০:১২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ১০ বছরেও শেষ হয়নি মামলার তদন্ত। তবে খুব শিগগিরই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব যখন কোনো মামলার তদন্ত করে তখন সর্বোচ্চ পেশাদারীত্বের মাধ্যমে তদন্ত করার চেষ্টা করে।
আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার মঈন বলেন, র্যাবের একটাই উদ্দেশ্য থাকে, যেন কোনো নিরাপদ ব্যক্তি তদন্তের মাধ্যমে সাঁজা না পায়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার দুই মাস পর র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। র্যাব বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে।
র্যাব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই মামলা তদন্ত করেছে। এই মামলার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যারা কাজ করেছে ডিবি, সিআইডিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিক ভাই বোনেরা। তাদের কাছে যা তথ্য উপাত্ত ছিল আমরা সবকিছুর চুল চেরা বিশ্লেষণ করেছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ১৬০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য আমরা গ্রহণ করেছি।
এই ঘটনায় যে সকল আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কে বিভিন্ন সময়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত আমরা ও সরকার এতটাই গুরুত্ব দিয়েছে বিভিন্ন আসলাম পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পাঠিয়েছি। সেখান থেকেও আমরা বিভিন্ন তথ্য পেয়েছি। সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি। আমরা এখনো তদন্ত চলমান রেখেছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবো। আমাদের একটাই কথা আমরা চাইবো না কোনো নিরাপদ মানুষ যেনো দোষী সাব্যস্ত হয়।
গত ১০ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। কবে এই দ্রুত সময়ে শেষ হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মামলার অনেক আলামত ডিএনএসহ বিদেশে পাঠাতে হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেতে সময় লেগেছে। সেগুলো পর্যালোচনা করছি। আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। মামলার আইয়ো অত্যন্ত পেশাদাত্বের সঙ্গে সব দিকগুলো ক্ষতিতে দেখছেন। এতেই আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে। পাশাপাশি আমরা টাইম টু টাইম মামলার অগ্রগতি আদালতে জানিয়েছি। ফলে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন। তদন্ত চলমান রয়েছে। আশা করি সম্প্রতি সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
র্যাব দায়িত্ব পাওয়ার ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি না থাকার করণ জানতে চাইলে র্যাবের মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়টি এমন না। র্যাব অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত করেছে। চট্টগ্রামে মাদক ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পালন করেছে। আর যখন আদালত র্যাবকে মামলার তদন্ত করার জন্য দেয় তখনই র্যাব কাজ করে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মামলার তদন্ত করার জন্য বাদী পক্ষ র্যাবের তদন্তের আবেদন করে। মানুষের এই আস্থা রয়েছে বলেই বিভিন্ন তদন্ত আদালতের মাধ্যমে র্যাব দায়িত্ব পায়।
এই মামলা তদন্তে আমরা সর্বোচ্চ পেশাদারীত্ব বজায় রেখে তদন্ত করার চেষ্টা করছি। আমরা আবারও বলছি, আমরা চাই না কোনো নিরাপদ মানুষ র্যাবের তদন্তে শাস্তি পাক। পাশাপাশি প্রতিটি তদন্তের অগ্রগতি আদালতে জানিয়েছি। আদালত আমাদের সময় বাড়িয়ে দিয়েছেন।