ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩২, ১৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

স্বামীর অপকর্ম জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা


প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন


স্বামীর অপকর্ম জেনে যাওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সোহাগ পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী। এরই মধ্যে বিয়ে করেছেন দুটি। আর কর্মস্থলে জড়িয়ে পড়েন অবৈধ সম্পর্কে। এটা নিয়েই তিক্ততা শুরু তাদের দাম্পত্য জীবনে। গার্মেন্টসে কাজ করার সময় মুক্তা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয়, ভালো লাগার একপর্যায়ে বিয়ে। তবে গোপন করেন প্রথম বিয়ের কথা বলে জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা। 

গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবী প্রথম স্ত্রীর বাসা থেকে গার্মেন্টসকর্মী মুক্তা বেগম (২৭) হত্যা মামলার আসামি স্বামী সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগ সিআইডির সদর দপ্তরের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এলআইসি শাখার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এ তথ্য জানান। 

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, পূর্বের বিয়ের বিষয়টি মুক্তা বেগমের কাছে না বলে প্রথম স্ত্রী বিলকিস বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ও একই কর্মস্থলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি মুক্তা বেগম জানতে পেরে স্বামী সোহাগকে জিজ্ঞাসা করে। এতেই শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য লাশটি ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায় সোহাগ। 

তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মুক্তা ও সোহাগ উভয়ই সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার পৃথক দুটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করত। অন্য এক গার্মেন্টসকর্মীর মাধ্যমে উভয়ের পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে স্থানীয় কাজী সাহেবের মাধ্যমে বিয়ে করে বাসা ভাড়া করে ঘর সংসার করতে শুরু করে। গত বছর মুক্তা বেগম ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে তাকে গর্ভপাত করান। 

এ ছাড়া সোহাগ মুক্তা হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, মুক্তাকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে লাশটি ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। 

নিহত মুক্তা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানাধীন খড়মপুর গ্রামের খোকন মিয়ার মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন ধরে শহিদুল্লাহ মালিকানাধীন হক ভিলার নিচ তলায় ভাড়া থাকত। নিহত মুক্তা আদমজী ইপিজেড এলাকায় অনন্ত গার্মেন্টস ও স্বামী সোহাগ সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকায় মজিব ফ্যাশনে চাকরি করত। 

ওই ঘটনার তিন দিন ভুক্তভোগী মুক্তা বেগমের চাচা সোহেল মিয়া স্বামী সোহাগের নামে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, সোহাগকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে আসলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা সেটা জানা যাবে। 


   আরও সংবাদ