প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ, এনএসআই, ঢাকা ওয়াসাসহ বেসরকারি নামীদামি সব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিচ্ছে হরহামেশা। এসএসসি পাশ দেওয়া হাইকোর্ট ডিভিশনের ভুয়া বেঞ্চ অফিসার রাশেদুল ইসলামকে পুলিশ অফিসারদের নাকানি চুবানি খাওয়ায় দিনদুপুরে। থানার ওসিরা সার বলতে বলতে পাগল প্রায় বলে জানিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
গত বুধবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগ এলাকা থেকে হাইকোর্ট ডিভিশনের ভুয়া বেঞ্চের অফিসার রাশেদুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অপরাধ তদন্তের বিভাগের (ঢাকা মেট্রো) অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, এই প্রতারক এক অঙ্গে বহুরূপী ছিলেন। এ ছাড়া বেশ কিছুদিন হাইকোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছে। সেখান থেকেই আইনি পেশায় হাত পাকিয়েছি রাশেদুল।

এতে উপস্থিত ছিলেন, সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আজাদ রহমান, সিআইডির (ঢাকা পশ্চিম) সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি জিয়াউর রহমান ও পরিদর্শক রেজাউল করিম।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, বাকপটু প্রতারক বিভিন্ন অফিসের উচ্চ পদস্থ অফিসারদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক আছে বলে প্রতারণা করে আসছেন। এ ছাড়া তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইলে ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেক অডিও মেসেজ পাওয়া গিয়েছে।
তিনি বলেন, গত দুই বছরের প্রতারণার ক্যারিয়ারে ২০ থেকে ২২ জনের কাছ থেকে চাকরি সহ বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ছাড়া তার কথা বলার ধরন দেখে বোঝার উপায় নেই, রাশেদুল আইনজীবী না।
বন্দুকের লাইসেন্স করিয়ে দেওয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধারসহ নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসাবে টাকা নিত। সিআইডি তাৎক্ষণিকভাবে আটজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির এই কর্মকর্তা।
প্রতারক তার নাম ব্যবহার করে বেঞ্চ অফিসারের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছেন। সে কখনো নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার কখনো খুলনা ল’ কলেজের সাবেক ভিপি ছিল বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করত।
ইমাম হোসেন বলেন, বেঞ্চ অফিসার হিসাবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে মর্মে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) আসামিদের জামিন ও খালাস করান সহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।