প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২২ ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, মশাল শুধু আমাদের হাতে নয়, সারা দেশের ছাত্র সমাজের অন্তরে জ্বলছে। যদি অনতিবিলম্বে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ, ও ছাত্রদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার না করা হয়, তবে নাগরিক ছাত্র ঐক্য সারা দেশের ছাত্র সমাজকে সঙ্গে নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রাজপথে নামবে।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় রাজধানীর জাতীয় শহীদ মিনারের সামনে 'শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা ও উপাচার্যের পদত্যাগে কালবিলম্বের প্রতিবাদে সভা পরবর্তী মশাল মিছিল করেছে নাগরিক ছাত্র ঐক্য।
শাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, অনশনরত কোনো শিক্ষার্থীর কোনো ক্ষতি হলে সেই দায়ভার এই সরকার কে নিতে হবে। সরকার তাদের নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে দলদাস উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে। সেই দলদাস ভিসিদের রক্ষার জন্য ছাত্রলীগকে কাজে লাগাচ্ছে।
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম বলেন আজ ২৪ জানুয়ারি ৬৯ এর মহান গণ-অভ্যুত্থান দিবস। ৫৩ বছর আগে এই দিনে মতিউর রহমান মল্লিক আইউব স্বৈরশাহীর বিরুদ্ধে মিছিল করে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। শাবিপ্রবিয়ানরা যে আন্দোলন করছে তা ওই দিনের ধারাবাহিকতা।
তিনি আরও বলেন, এই উপাচার্যকে কেউ চায় না। তারপরও সে পদত্যাগ করছে না। স্বৈরাচার্য উপাচার্য ফরিদুদ্দিন বলেছে তিনি নাকি কার হুকুমের অপেক্ষায় আছেন, তাকে না বললে নাকি সে পদত্যাগ করবে না! আমি বলতে চাই তাকে কি গরুর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে? তাহলে ওই দড়ি ছাত্র সমাজ খুলতে জানে। তাকে মুক্তি দিয়েই আমরা আন্দোলন থেকে সরে আসব অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
আন্দোলনকারীরা বলেন, শুধু শাবিপ্রবি নয় সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই চিত্র ফুটে উঠেছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি মাত্র পথ খোলা আছে, তা হলো শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো। এ জন্য একটি জনগণের সরকার প্রয়োজন অযোগ্যদের দিয়ে হবে না।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ছাত্র, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সদস্য খায়রুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মুর্তজা, মেহেদি হাসান লিমন সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।