ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩২, ১৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

২০ হাজার টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সুযোগ!


প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন


২০ হাজার টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার সুযোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক: যারা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি, তাদের চান্স পাইয়ে দেব। এতে খরচ হবে মাত্র ২০ হাজার টাকা। তবে প্রথমে অগ্রিম প্রদান করতে হবে ৮৫০ টাকা। এটা যেন তাদের সদস্য ফরম! একই গ্রুপ থেকে সম্ভাবনার আরেকটি বার্তা শেয়ার করা হয় যেখানে লেখা যারা রেজাল্ট পরিবর্তন করার জন্য ৮৫০ টাকা দিয়েছেন তাদের রেজাল্ট চেঞ্জ হয়েছে। বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে রেজাল্ট পাবেন। বাকি টাকা ভর্তির পর দেবেন। এ ছাড়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর (বিআরইউআর) চান্সের শতভাগ সম্ভাবনা বলে নামের গ্রুপ থেকে একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। 

আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তার কাছ থেকে বিকাশ সিমসহ ১০টি সিম,৩টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। 

পরে রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ আকজের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান। 

রেজাউল মাসুদ বলেন, কয়েক দিন জন্য তৈরী করা সাময়িক আইডি থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজের পোস্টের নিচে কমেন্ট করে গ্রাহক সংগ্রহ করত। এই চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে জালিয়াতি কাজ করে আসছে। তবে তারা গ্রাহকদের কাছে থেকে কম টাকা নিত। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। 

এসএসপি মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে এমন তথ্য পায় সিআইডি। চক্রটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জালিয়াতি করে ভর্তির প্রলোভন দিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির বিষয়ে ভুয়া তথ্য সরবরাহ করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করা হয়। 

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে জানা যায় এই প্রতারক চক্রটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি জালিয়াতি সঙ্গেও যুক্ত। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চক্রটি বিভিন্ন মোবাইল নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিত। 

এসএসপি মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জানা গেছে ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। তারা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি–ইচ্ছুকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। তাদের দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য আশ্বস্ত করা হতো। এ ছাড়া নিবন্ধনের টাকা দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়রে ভর্তির রেজাল্টের পর চক্রটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ বিকাশ নম্বরও বন্ধ করে দিত। 
 


   আরও সংবাদ