প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী, ২০২২ ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মোবাইল চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন মনে হওয়ায় ভুক্তভোগী রুবেল মিয়াকে আটকে শারীরিক নির্যাতন করেন। কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ও মিস্ত্রি। এর একপর্যায়ে মোবাইল ও টাকা উদ্ধারের জন্য রশি দিয়ে ভুক্তভোগীর হাত বাঁধে। পরে একই রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় তারা। এতেই ভুক্তভোগীর মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ রোববার ভোরে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান ও গাজীপুর শ্রীপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী আব্দুল জলিল (৫৩) ও আব্দুল মান্নান (৩২) ‘কে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।
পরে দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তার আব্দুল জলিল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গত ৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে ভুক্তভোগীকে সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের বাথরুম থেকে বের হলে সন্দেহ হওয়ায় চোর ভেবে আটক করে। পরে শারীরিক নির্যাতনের একপর্যায়ে রুবেল মারা যায়। এ সময় তার লাশের পাশে মোবাইল বন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী রুবেল মিয়া চলতি মাসের ২ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে ৫ জানুয়ারি নতুন বউয়ের সঙ্গে শ্বশুর বাড়ি যেতে চায় না। পরে সে বাজার থেকে চুল-দাঁড়ি কেটে আসার নাম করে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। সেই দিন থেকেই নিখোঁজ রুবেল। এ ছাড়া রুবেল মানসিকভাবে একটু বেকারগ্রস্ত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
চলতি মাসের গত ৫ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর এলাকা নিখোঁজ হয় রুবেল মিয়া। পরে ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর সরকারি বাংলা কলেজের নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ৫ম তলার ৮১৬ নম্বর কক্ষে ওই ভুক্তভোগীর অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। তবে রুবেল কখন, কীভাবে ঢাকায় আসছেন এবং মিরপুর বাঙলা কলেজে যান এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে রুবেল মিয়া। পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করেন রুবেল মিয়া (২৩)। বিয়ের তিনদিন পরে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের পরের দিন লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার পরিবার। পরে এ বিষয়ে নিহতের চাচা বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারি দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর জোনাল টিম। এতে নেতৃত্বে দেন মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম।