ঢাকা, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩২, ১৬ জ্বমাদিউল সানি ১৪৪৭

ধর্ষণের পরে গ্রেপ্তার এড়াতে মালবাহী ট্রাকে লুকায় রিয়াদ


প্রকাশ: ৮ জানুয়ারী, ২০২২ ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন


ধর্ষণের পরে গ্রেপ্তার এড়াতে মালবাহী ট্রাকে লুকায় রিয়াদ

স্টাফ রিপোর্টার : বিয়ের অনুষ্ঠানে টার্গেট করা হয়েছিল ওই দুই গারো কিশোরীকে। রাতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাড়ি ফেরার সময় দলবলসহ ধর্ষণ করে রিয়াদ ও তার সহযোগীরা।

আজ শনিবার (০৮ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

গত ২৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের কাটাবাড়ী গ্রামে দুই গারো কিশোরী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ৩০ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানায় ১০ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এক ভুক্তভোগীর বাবা। প্রধান আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে গতকাল গভীর রাতে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এজাহারভুক্ত আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গতকাল শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর থেকে অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১৪। 

সংবাদ সম্মেলনে মঈন বলেন, জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে ঘটনার পর রিয়াদ একটি মালবাহী ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে পরবর্তীতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁওয়ে আত্মগোপন করে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল, বাবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হওয়ায় সেই ক্ষমতার প্রভাব কাজে লাগাত রিয়াদ। 

র‍্যাব জানায়, সোলায়মান হোসেন রিয়াদ এলাকায় ১০-১৩ জনের একটি বখাটে দলের নেতৃত্ব দিত। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করারও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। মাদক আইনের এক মামলায় জেলও খেটেছে। 

জানা যায়, এর আগে তিনবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে রিয়াদ। তার বাবা আব্দুল মান্নান গাজির ভাটা ইউনিয়নের সদ্য সাবেক ইউপি মেম্বার। বছর খানেক আগে স্কুল থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সালিস ডেকে চড় থাপ্পড়ের মাধ্যমে সে ঘটনা ধামাচাপা দেন। 

আইনি বিষয় স্থানীয়ভাবে সমানের বিষয়ে জানতে চাইলে দেলোয়ার দাবি করেন, ওই সময় প্রাথমিকভাবে তাকে ক্ষমা করা হয়। কিন্তু সে ভালো হয় নাই। আমরা এলাকাবাসী তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। 


   আরও সংবাদ