প্রকাশ: ৫ অগাস্ট, ২০২১ ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা থেকে ইস্তানবুলগামী ফ্লাইটে দেশ ছাড়ার সময় বৈদেশিক মুদ্রা পাচার চক্রের এক সদস্য মামুন বেপারি (২৯)'কে ২ লাখ ৬২ হাজার সৌদি রিয়েলসহ আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) বিকালে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানতে পারে, আজ ঢাকা থেকে ইস্তানবুলগামী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং টিকে-৭১ ফ্লাইটের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার চক্রের এক সদস্য বিপুলপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে দেশ ছাড়বে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মহাপরিচালকের দিক-নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী পরিচালক ইফতেখার আলম ভূঁইয়া এর নেতৃত্বে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গোয়েন্দা কর্মকর্তাগণ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্দিষ্ট স্থানে সতর্কতামূলক অবস্থান গ্রহণ করে নজরদারী বজায় রাখে।
আজ টার্কিশ এয়ারলাইন্সেরএকটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়ার সময় সন্দেহভাজন যাত্রী মামুন বেপারী পাসপোর্ট নম্বরঃ EF0968775। ইস্তানবুল যাওয়ার উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ২য় তলার চেক-ইন রো-ডি ব্যাগেজ চেক ইন শেষে বোর্ডিং পাস নেওয়ার প্রাক্কালে এ দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উক্ত যাত্রীর সাথে থাকা একটি ট্রলিব্যাগ স্ক্যানিং করে মুদ্রা সদৃশ বস্তু দেখতে পান।
পরবর্তীতে উক্ত যাত্রীকে বিমানবন্দরের কাস্টমস হলের ব্যাগেজ কাউন্টারে এনে ট্রলিব্যাগ তল্লাশি করে এর অভ্যন্তরে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ৫২৪টি ৫০০ মুদ্রা মানের মোট ২ লাখ ৬২ হাজার সৌদি রিয়েল মুদ্রা পাওয়া যায়, যার মূল্যমান বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ৫৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা। যা আনুমানিক ৬৩ হাজার ৪৮৬ ইউ.এস ডলার। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, উল্লিখিত বৈদেশিক মুদ্রাসমূহ সংগ্রহের বৈধ কোন কাগজপত্র প্রদর্শন করতে পারেননি।
উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এর ধারা ৮ এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এর সার্কুলার নং-এফই সার্কুলার নম্বর-১৭, ২০১৪ সালের ৬ এপ্রিল মোতাবেক বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের বাহিরে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ব্যতীত প্রতি ট্রিপে ৫ হাজার মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যমানের বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশের বাহিরে নেয়া যাবে না।
বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৪৭ এর ধারা ৮ এবং শুল্ক আইন, ১৯৬৯ এর বিভাগ ১৬ এর নিয়ন্ত্রণ লংঘন করে যাত্রীর এরূপ অপচেষ্টা শুল্ক আইন, ১৯৬৯ এর বিভাগ ২(এস) অনুসারে ‘চোরাচালান’ হিসেবে বিবেচিত এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) এর ধারা-৪ অনুসারে দন্ডযোগ্য। সার্বিক অপরাধ বিবেচনায় ধৃত আসামী মুদ্রা চোরাচালান অপরাধ করায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-বি এর (১)(এ)/২৫-ডি ধারায় অপরাধ করেছেন।
আটককৃত বৈদেশিক মুদ্রা DCH-DE-20210815411, ০৫ আগস্ট মূলে কাস্টম হাউসের মূল্যবান গুদামে জমা প্রদান করা হয়েছে। আটক ও চোরাচালান এর ঘটনায় শুল্ক আইন, ১৯৬৯ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা এবং ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা আন্তঃ বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।