প্রকাশ: ২০ জুলাই, ২০২১ ১১:৪১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : গত ১৬ জুলাই দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘১৪ ঘন্টা বাসের লকারে বন্দী ৪৬ ছাগল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, দিনাজপুর থেকে নওশীন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসের মালপত্র রাখার লকারে গাদাগাদি করে আটকে সিলেটে নেয়া হয়েছে ৪৬টি ছাগল। বর্বরোচিত উপায়ে লকারের মধ্যে দীর্ঘ সময় ঠাসাঠাসি করে আটকে রেখে পরিবহন করায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাগলগুলো।
- বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের প্রধান এআইজি সোহেল রানা
এঘটনা দৃষ্টিতে আসার পরপরই সংবাদে উল্লিখিত তথ্য অনুযায়ী সংবাদটি দিনাজপুর জেলার সদর থানার ওসিকে পাঠিয়ে এ বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
প্রাথমিক তদন্তে দিনাজপুর সদর থানার ওসি নিশ্চিত করেন বাসটি তার এলাকা থেকে ছেড়ে গেলেও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকায় যাত্রা বিরতির সময় ওই বাসে ছাগল গুলোকে তোলা হয়। এর পরপরই, বিষয়টি ওসি শিবগঞ্জ সিরাজুল ইসলামকে ঘটনা স্থানে পাঠিয়ে অপরাধীদেরকে দ্রুত খুঁজে বের করে আইনে আওতায় আনার নির্দেশনা দেয় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং।
ওসি শিবগঞ্জ তাৎক্ষণিকভাবে তার একটি টিমকে এই বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে নিয়োজিত করেন। অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অবশেষে, ওসি শিবগঞ্জের তৎপরতায় ছাগলের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনকে গাইবান্ধার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
পরবর্তীতে জিন্নাহ নামে অপর একজনকেও এই ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ছাগলের পরিবহনের সাথে সম্পৃক্ত অন্যদেরকেও আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লেখ্য, আইনসম্মত কারন ব্যতীত কোনো প্রানীর প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন আইনত দন্ডযোগ্য অপরাধ।