প্রকাশ: ১৪ জুলাই, ২০২১ ১২:৩২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর থানাধীন পশ্চিম মোমিনবাগ রোডস্থ ৩৩ নং বাড়ি ৩য় তলা বিল্ডিংয়ের বাহির থেকে তালাবন্ধ করে বাড়ির ভিতরে ১ম ও ২য় তলার কক্ষে বসে বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর পণ্য নকল ও ভেজাল করে উৎপাদন পূর্বক মজুদ ও নিজ হেফাজতে রেখে বাজারজাত করার দায় ২ জনকে আটক করেছে সিআইডি। জব্দকৃত ভেজাল ও বিষাক্ত আইস ললি যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- মিরাজ হোসেন (২৩) ও আল আমিন (১৯)। এছাড়া আারেক আসামী জাহাঙ্গীর (৩৮) পলাতক রয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রাণ কোম্পানীর নকল ও ভেজাল কোমল পানীয় রোবো আইস ললি ৪০ কার্টুন, কোকাকোলা কোম্পানীর নকল ও ভেজাল কোমল পানীয় কোকাকোলা আইস ললি ১২ কার্টুন, আকিজ কোম্পানীর নকল ও ভেজাল স্পীড, হাই-স্পিড আইস ললি ৫৫ কার্টুন, আইস ললি তৈরির ৮ টি মেশিন, প্লাষ্টিকের বস্তায় মোড়ানো নিম্নমানের বিভিন্ন ক্যামিকেল যার আনুমানিক ওজন ৫০ কেজি, প্লাষ্টিকের ১০টি জারে সংরক্ষিত ক্যামিকেল, খালি কার্টুন ৫০০ পিস এবং কোকাকোলা, প্রাণ ও আকিজ কোম্পানীর নকল লেবেল ২ বস্তা জব্দ করা হয়।

গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে সিআইডির একটি টিম। পরে সিআইডি ঢাকা মেট্রো-পশ্চিম টিম নং-৩ এএসপি রতন কৃষ্ণ সাহেবের নেতৃত্বে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত থেকে আলামত জব্দ করা হয়।
আসামীরা প্রাণ কোম্পানীর নকল কোমল পানীয় রোবো আইস ললি, কোকাকোলা কোম্পানীর নকল কোমল পানীয় কোকাকোলা আইস ললি, আকিজ কোম্পানীর নকল স্পীড আইস ললিতে নিম্নমানের বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করে তাদের নিজেদের প্রতিষ্ঠানে মনগড়ামত প্রস্তুত করে রাজধানীর চকবাজারের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করে আসছে।
পরবর্তীতে চকবাজারের দোকান গুলো থেকে সারা বাংলাদেশে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পাইকারীভাবে সরবরাহ করা হয়। আটককৃত আসামীরা প্রাণ কোম্পানী, কোকাকোলা কোম্পানী, আকিজ কোম্পানীর লোগো ব্যবহার করে নকল ও ভেজাল পণ্য প্রস্তুত করে একদিকে তাদের ঐ সমস্ত কোম্পানীর ভাবমূর্তী নষ্ট করছে অন্যদিকে এ সকল ভেজাল ও নিম্নমানের কোমল পানীয় তৈরী করে মারাত্বক স্বাস্থ্য ঝুকি তৈরী করে।
সাধারণত শিশুরা এসব পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট থাকে। এসব ভেজাল পণ্য পান করলে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর পণ্য নকল ও ভেজাল করে উৎপাদন পূর্বক বিক্রয়ের উদ্দ্যেশ্যে মজুদ ও নিজ হেফাজতে রাখায় তাদের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীচর থানায় মামলা নং-২২, তারিখ-১২/০৭/২০২১খ্রিঃ ধারা-১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-গ এর ১(ক) দায়ের করা হয়েছে।