প্রকাশ: ১৫ জুন, ২০২১ ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
আবদুল হামিদঃ
শহিদুল ইসলাম হাওলাদার মাদারীপুর কালকিনীর বাসিনধা রাজধানীর বারিধারা প্রগতি স্মরণী মেসার্স হাওলাদার কারস'এর মালিক তার কাজ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নেয়া আর পরিশোধ না করে টাকা আত্মসাৎ করা। তার পরেও তিনি লোন পেয়ে থাকেন অবাধে। তার লোন দেয়ার পিছনে আসলে কারা আছে। জানে না কেউ আর জানলেও তারা সব সময় অধরাই থেকে যায়।
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেন এবং তা পরিশোধ না করে দীর্ঘদিন যাবৎ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর এই সব ব্যবসার নামে প্রতারকদের জন্য বার বার ক্ষতির মুখে পরছে দেশের ব্যাংকিং খাত।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল ১২ টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি'র হেডকোয়ার্টাসের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এ সব তথ্য জানান।
অতিরিক্ত উপ পুলিশ মহাপরিদর্শক (এডিশনাল ডিআইজি) শেখ ওমর ফারুক বলেন, ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের বিরুদ্ধে ঋণ খেরাপির বিশেষ দায়েরকৃত মামলা নং-১১৫/১৫ এবং বিশেষ দায়রা মামলা নং-১১৪/১৫ তে আদালত ২০১৯ সালের ১৮ আগস্ট ব্যাংকের পক্ষে ২০ কোটি টাকার ডিক্রী প্রদান করেন।
পরে মামলার বিচার শেষে উল্লিখিত আসামীকে গত ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে মামলা নং-১১৫/১৫ তে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৫ কোটি টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন। একই সময় আসামীর বিরুদ্ধে অপর মামলা নং-১১৪/১৫ সংক্রান্তে আদালত আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ কোটি টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করেন।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রতারকের বিরুদ্ধে সিআইডি অভিযোগ প্রাপ্ত হলে, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ পূর্বক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে। বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নেতৃত্বে এই অর্থ ঋণ জালিয়াতীর মূল হোতা শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে সিআইডি’র একটি চৌকস টীম গতকাল পুরানা পল্টন থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঋণের অর্থ আত্মসাৎ করার বিষয়টি স্বীকার করেন। অর্থ আত্মসাতের পর আসামীর পলাতক হবার সম্ভাবনা ছিল। আটককৃত প্রতারককে গ্রেফতারের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ইস্যুকৃত দুইটি গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট তামিল হলো। আসামীকে গ্রেফতার বাংলাদেশ পুলিশ তথা সিআইডির একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন বলেও জানান।