ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইউরোপ পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারণা, ৬ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৩


প্রকাশ: ৫ অগাস্ট, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ইউরোপ পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারণা, ৬ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৩

   

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর হাতিরঝিল ও পল্টন এলাকা থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ড ও বাংলাদেশের ভিসার শর্তভঙ্গের দায়ে লিবিয়ার এক নাগরিক ও তার সহযোগী সুফি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব-৩।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে র‌্যাব-৩-এর অপারেশন অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ফারজানা হক এক বার্তায় নিশ্চিত করেন।

র‌্যাব জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের নিকট হতে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ইতালীতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে। এমনকি লিবিয়ায় তাদের নিজেদের বিভিন্ন কোম্পানীতে প্রতি বছর বহুসংখক নিয়োগ ও অধিক বেতন প্রদান করা হয়ে থাকে বলে ব্যপক প্রচারণা চালায়।

বাংলাদেশের অভিবাসন প্রত্যাশী সাধারণ নাগরিকদের তার নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে সংগ্রহ পূর্বক অবৈধভাবে বিদেশে প্রেরণ এবং প্ররোচিত করেছেন।

হাতিরঝিল এলাকা থেকে আটক করা হয় লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদ ওমর ফিরোজকে (৪৫)। আর পল্টন এলাকা থেকে আটক করা হয় সুফি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুল গোফরান (৬০), ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিজানুর রহমান (৩৪), ম্যানেজার নজরুল ইসলাম (৪২), হিসাবরক্ষক মহিন উদ্দিন (৩১) এবং ম্যান পাওয়ার এজেন্ট সোহেল (২৪)।

এএসপি ফারজানা হক বলেন, র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদ ওমর ফিরোজ টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে আসেন। বিধি বহির্ভূতভাবে ইনভেস্টর (ডিআই), ইমপ্লয়মেন্ট (ই), ওয়ার্ক পারমিট গ্রহণ ব্যতিরেকে ঢাকার সুফি ইন্টারন্যাশনাল লি. নামক রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যুক্ত হয়ে অবৈধভাবে জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসায় দীর্ঘদিন যাবত জড়িত আছেন।

তিনি রাজধানীর একটি হোটেলে অবস্থান করে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন। লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদকে ভিকটিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার হাতিরঝিল এলাকা থেকে আটক করা হয়।

ফারজানা হক আরও জানান, সামির আহমেদ বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের চার লাখ টাকার বিনিময়ে লিবিয়া হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ পাঠানো হবে, বিশেষত ইতালিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলেন। 

লিবিয়ায় তাদের নিজেদের বিভিন্ন কোম্পানিতে প্রতি বছর বহুসংখক নিয়োগ ও অধিক বেতন দেওয়া হয় বলেও ব্যাপক প্রচারণা চালান। 

বাংলাদেশের  নাগরিকদের নির্ধারিত দালালের মাধ্যমে সংগ্রহ করে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাতে প্ররোচিত করে আসছিলেন সামির আহমেদ।

গতকাল বুধবার পল্টন এলাকা থেকে লিবিয়ার নাগরিক সামির আহমেদের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বাংলাদেশের সুফি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের মালিকসহ ৫ জনকে আটক করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান এএসপি ফারজানা হক।

উল্লেখ্য, অবৈধ পন্থায় বিভিন্ন বৈদেশিক কোম্পানী হতে চাহিদাপত্র সংগ্রহ, উহা ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগে এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারা লংঘন পূর্বক অনুমোদন বিহীন ও চটকদারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদেশ গমন ইচ্ছুকদের স্থানীয় দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশে প্রেরণের অভিযোগে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।


   আরও সংবাদ