ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি শিশুদের মেধা বিকাশে ফলপ্রসূ পদ্ধতি : মোস্তাফা জব্বার


প্রকাশ: ১১ জুলাই, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি শিশুদের মেধা বিকাশে ফলপ্রসূ পদ্ধতি : মোস্তাফা জব্বার

   

স্টাফ রিপোর্টার : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে ডিজিটাল শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৭ সালে কম্পিউটারকে শিক্ষার উপকরণ হিসেবে দেখেছে।

ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি প্রচলিত শিক্ষা পদ্ধতির চেয়ে সহজ ও আনন্দদায়ক হওয়ায় শিশুদের মনন ও মেধা বিকাশে কার্যকর ও ফলপ্রসূ একটি পদ্ধতি।

মন্ত্রী গতকাল ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার, সারা বাংলা নামের ফেসবুক গ্রুপের সাথে আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার এবং বিজয় ডিজিটাল এর প্রধান নির্বাহী জেসমিন জুই বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বলেন, শিশুকাল হচ্ছে তাদের আগামী দিনের সুযোগ্য করে গড়ে তোলার উৎকৃষ্ট সময়। প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে শিশুদের ভবিষ্যত ভিত তৈরির সূতিকাগার। তারা কাদা মাটির মতো তাদের যে ভাবে গড়তে চান সেভাবেই তারা তৈরি হবে।

শিশুদের তৈরি করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। শিশুরা তাদের মা বাবার চেয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ বেশি অনুসরণ করে। শিক্ষকদের নির্দেশনাই তাদের পাথেয়।

তিনি বলেন,দক্ষ জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন।

মোস্তাফা জব্বার শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে ১৯৯৯ সাল থেকে তার অর্জিত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন. এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা একবছরের পাঠ্যক্রম দুইমাসের মধ্যে শেষ করতে সক্ষম। এই ক্ষেত্রে তিনি দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

তিনি বলেন, ডিভাইস এবং ডিজিটাল কনটেন্ট শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের অন্তরায়। ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ প্রচেষ্টায় চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করতে তিনি সক্ষম হয়েছেন এবং পঞ্চম শ্রেণির কনটেন্ট তৈরির কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি আরো বলেন, বাচ্চাদেরকে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন থেকে দূরে রাখার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিৎ বলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার সারা বাংলার সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন। তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ প্রদানের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি তুলে ধরেন।


   আরও সংবাদ