ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী

   

মধুপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা : কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বোরো ধানসহ সকল ধানের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদন খরচ কমাতে হবে, সেজন্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। ধান রোপন, কাটা, মাড়াই এবং শুকানোসহ সব কাজে যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আর সে লক্ষে এ বছর ভর্তুকি মূল্যে ২০০ কোটি টাকার কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লানটারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে বিতরণ চলছে। 

শুক্রবার (১ মে) টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ৩২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে্। এটি অনুমোদিত হলে আগামী বছরে আরো বেশি করে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লানটারসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের কাছে বিতরণ করা যাবে। এর মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে বলেও মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।

পঙ্গপালের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পঙ্গপাল আসার নজির নেই। এটি সাধারণত পাকিস্তান ও ভারতের রাজস্থান পর্যন্ত আসে। এদেশে আসার সম্ভাবনা কম। তবু বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কক্সবাজারে বিজ্ঞানীদের পাঠানো হয়েছে। 

তিনি বলেন, কক্সবাজারে পঙ্গপাল এসেছে এই ধারণা ঠিক নয়। তবে কী পোকা এসেছে এবং তা কতটুকু ক্ষতিকর সেটি দেশিয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। এবং তাঁদের মতামত নিয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরার সভাপতিত্বে  এ অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান, পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি প্রমুখসহ উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষের আশঙ্কাও করছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সে বার বার কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর আহ্বান জানাচ্ছেন। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। 

পরে কৃষিমন্ত্রী মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০০টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া, টেংরি গোরস্থান ঈদগাহ মাঠে সাবেক ছাত্রনেতা রাইসুল ইসলাম জুয়েল এর উদ্যোগে আরো ৩০০টি দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। করোনা থেকে নিরাপদে থাকতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।


   আরও সংবাদ