ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ ভাদ্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রেতার অভাবে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে খলিলের লাল বাঁধা কপি


প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


ক্রেতার অভাবে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে খলিলের লাল বাঁধা কপি

   

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি : মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করতে যেয়ে দেশের চলমান সংকটের কারণে সবজির পাইকার ক্রেতার অভাবে ক্ষেতেই পচে বিনষ্ট হচ্ছে মণিরামপুরের সবজি চাষী খলিলের লাল বাঁধা কপি। 

অনেক কষ্টে ভারত থেকে বীজ আনিয়ে সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ কপির চাষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন তিনি। 

এ উপজেলায় খলিলই একমাত্র কৃষক যিনি এবারই প্রথম এ জাতের কপি চাষ করেছেন। দাম বেশি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে এ কপির চাহিদা না থাকলেও খুলনা, ঢাকাসহ বড় শহরে রয়েছে এ কপির আকাশ চুম্বি চাহিদা। 

খলিলুর রহমান মণিরামপুর পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে। তিনি বরাবরই নতুন জাত এবং বাজারে চাহিদা সম্পন্ন সবজি ও ফলের চাষ করে আসছেন। প্রায় ২০ বিঘা জমি লীজ নিয়ে গোল্ডেন ক্রাউন নামের তরমুজ, ব্রোকলি, মেটে আলু, লাউসহ বিভিন্ন সবজির চাষ তিনি করছেন।

আক্ষেপের সাথে খলিল বলেন, অনেক কষ্টে ভারত থেকে সাড়ে তিনশ’ গ্রাম বীজ ২৫ হাজার টাকায় কিনে আনিয়ে জমিতে চারা বানিয়ে সাড়ে ৬ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন এ কপির চাষ করেছেন। ভাল ফলনও হয়েছে। কিন্তু যে সময় ক্ষেত থেকে কপি উঠিয়ে বাজারজাত করার কথা, ঠিক সেই সময়ই দেশে মহামারী করোনার ছোবল দেখা দিয়েছে। 

এ ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে সব কিছুর সাথে পরিবহনও বন্ধ হয়। তবে, পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিধি নিষেধ শিথিল থাকলেও বাইরে থেকে পাইকার ক্রেতা না আসায় তার আবাদী কপির প্রায় সবই অবিক্রি রয়ে গেছে। এর ফলে ক্ষেতের কপি ক্ষেতেই পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

প্রতি বিঘায় প্রায় ৭ হাজার লাল কপি হয়েছে। যার প্রতিটির ওজন প্রায় ২ কেজি। প্রতি কেজি ২৬-৩০ টাকা দরে প্রতিটি গড়ে প্রায় ৪০ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা ছিলো। 

তিনি আরো জানান, তার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। 

মণিরামপুর পাইকার কাঁচা বাজার আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাইরে থেকে আসা পাইকার ক্রেতা কমে যাওয়ায় সবজির দাম কমে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, করোনা মহামারীর কারনে পরিবহন ও পাইকার ক্রেতা সংকটে দেশের বড় শহরে সবজি না যাওয়ায় সবজি চাষী খলিলকে লোকশান দিতে হচ্ছে।


   আরও সংবাদ