ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ ভাদ্র ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

করোনা: হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের করণীয় ও সর্তকতা


প্রকাশ: ৯ এপ্রিল, ২০২০ ১৪:০০ অপরাহ্ন


করোনা: হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের করণীয় ও সর্তকতা

   

বিশেষ প্রতিবেদক : জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউড হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন, কোভিড-১৯ সাথে হৃদরোগ ৩ ভাবে জড়িত হতে পারে।  যারা ইতিমধ্যে হৃদরোগী, বাইপাস করা আছে, যাদের ভাল্ব পরিবর্তন করা আছে, তাদের জন্য ঝুকিপুর্ণ। এদের ১০ শতাংশ মৃত্যুর ঝুকিতে থাকে। এছাড়া করোনা আত্রান্ত রোগীর হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বা হৃদরোগ হতে পারে।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমন যতোদূর সম্ভব প্রতিরোধ করা এবং এর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করা। রোগীদের জানতে হবে, কারোনা ও হৃদরোগ দুটির চিকিৎসা সম্পূর্ন আলাদা। মনে রাখতে হবে এইসময় কোনভাবেই অসুস্থ হওয়া যাবে না। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ম মাফিকভাবে চলতে হবে। আর সাথে রাখতে হবে প্রয়োজনীয় ওষুধ। নিয়মিত ব্যায়াম, বিশুদ্ধ খাবার খাওয়া, নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন রাখা, এর সাথে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া। 

রেড ক্রিসেন্ট হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. আফরিন সুলতানা বলেন, যাদের শ্বাসকষ্ট আছে সবার থেকে দুরুত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ফেস মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আর মনে রাখতে হবে একই মাস্ক দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যাবে না। আর মাস্ক ভিজে গেলে অবশ্যই ফেলে দিতে হবে। কাপড়ের তৈরি মাস্ক পড়লে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

ডা. প্রদীপ কুমার কর্মকার বলেন,   করোনায় ৮০ ভাগ রোগী কোনো উপসর্গ না থাকে অথবা খুবেই সামান্য উপসর্গ থাকে।  ২০ ভাগ রোগী মডারেট সিমটম থাকে, তাদের অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এ ২০ ভাগের মধ্যে ৫ শতাংশ রোগীর কারো কারো আইসিইউ বা ভেন্টিলেটর লাগতে পারে। 

তিনি বলেন,  ৮০ ভাগ রোগীর শরীরে প্রতিরক্ষা শত্তি ভালো থাকায় এদের শরীরে একটা এন্টিবডি তৈরি করে, এ এন্টিবডি ভাইরাসটাকে মেরে ফেলে। তখন এ রোগী এমনিতেই ভালো। কিন্তু  এগ্রুপটার সবচেয়ে খারাপ দিকটা হলো, এরা ভাইরাস বহন করে বেড়ায়, কোনো উপসর্গ থাকে না। এরা ক্ষতিটা করে বিশেষ করে বয়স্ক বা বিভিন্ন রোগে আত্রান্তদের।


   আরও সংবাদ