ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ ভাদ্র ১৪৩১, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মাঠে নাড়ার আগুনে ধূয়া উড়ানোর দৃর্শ্য আজ আর দেখা মিলে না


প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মাঠে নাড়ার আগুনে ধূয়া উড়ানোর দৃর্শ্য আজ আর দেখা মিলে না

   


বোরহান মেহেদী: বাংলাদেশ আমাদের দেশ। বাংলার গ্রাম বাংলার মাঠ আমাদের বৈচিত্রময় এক নাড়ীর ছবি। যা যুগ যুগ ধরে আমরা লালন করি। নিত্যদিন ঘটে এমনি দৃর্শ্য যা প্রাণকে দোলা দিয়ে যায়। তেমনি একটি দৃর্শ্য দেখা মিললো আজ নরসিংদী পলাশের চাঁকশাল মাঠে।

চোখ জুড়ানো সেই গ্রামবাংলার একটি ছবি হচ্ছে শুকনো মাঠের বিরান ছবি। কোথাও ধান কাটাছে। কোথাও ধান গুটি করে রেখে দিচ্ছে।আবার কোথাও ধানের শুকনো নাড়াতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে নিচ্ছে। যা একদিন নতুন করে ক্ষেতের জৈব সারে পরিণত হয়ে যায়। এমনি একটি দৃর্শ্য অনেক দিন পর দেখছি ধূঁ ধূঁ মাঠের মাঝখানে ঘুসে ঘুসে জ্বলছে। এই ছবি অনেক ছিলো আমন মাঠের দৃর্শ্য। এখন কালে ভদ্রে দেখা মিলে।

ষাট উর্ধ সফর আলি একজন কৃষক। দীর্ঘ জিবনের কৃষি কাজের অভিজ্ঞতা বয়ে বেড়াচ্ছে এই মানুষটি। এখনো ছেলেদের সাথে ধান লাগনোর জোগান দিতে  মাঠে নামেন। কথা হলো তার সাথে, তিনি বললেন "বাপু এখন আর পুরানোদিনের আবাহনকালের ধানীমাঠের মনকাড়া সেই আমোদী দিন আর নেই। একদিন আমি শীতের ভোর সকালে গরুর হাল নিয়ে ক্ষেতে যেতাম। সুর্য্য উঠার আগেই চাষ সেরে মাঠ থেকে ফিরতাম। সেখানে এমনি নাড়া কুটায় তখন আগুন জ্বেলে ঠান্ডা হাত পা গরম করে নিতাম। এখন দিন দিন ধানের মাঠ ছোট হয়ে যাচ্ছে। মানুষ জল্যা ক্ষেত ভরে বাড়ি ঘর তৈরী করে সব শেষ করছে"। 

একদিন দখা যাবে মাঠ আর নাই। মাঠের সবুজ কচি রোপা চারার, সোনালী ধানের ভরপূর্ণ মাঠ থাকবেনা। থাকবেনা এমনি দিঘল মাঠের গ্রাম বাংলার সেই নাড়ার আগুন ঘুসে ঘুসে জ্বলে ধূয়া উড়ানোর ছবি।


   আরও সংবাদ