প্রকাশ: ২১ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের একটি বেসামরকি হাসপাতালে নারী আত্মঘাতী হামলাকারীর বোমা বিস্ফোরণে ছয় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত নয়জন নিহত ও আরো ২৬ জন আহত হয়েছেন।
আজ রোববার সকালে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে এই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
পুলিশ জানিয়েছে, রোগী ও হাসপাতালের স্টাফদের টার্গেট করে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর আগে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন দুই পুলিশ সদস্য।
ডেরা ইসমাইল খান জেলায় দায়িত্বরত পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা সালিম রিয়াজ খান জানান, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে নিহত হন দুইজন। পরে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারে হামলা চালানো হয়। এতে আরও চার পুলিশ সদস্য এবং স্বজনদের দেখতে হাসপাতালে যাওয়া তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
তিনি আরও জানান, আহতদের মধ্যে আট পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াকার আহমেদ বলেন, শহরের প্রধান হাসপাতালে ওই দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ যখন নেয়া হয়, তখন বোরকা পরিহিত এক আত্মঘাতী নারী হামলাকারী বিস্ফোরক ভর্তি জ্যাকেটের বিস্ফোরণ ঘটায়। যে কারণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে সেখানে চিকিৎসাধীন অনেক রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে শহরের অন্যান্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পাকিস্তানি তালেবান হিসেবে পরিচিত স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান-পাকিস্তান (টিটিপি)’র মুহাম্মদ খুরাসানি ওই হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, এক মাস আগে কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশের অভিযানে তালেবানের দুই কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধে এই হামলা চালানো হয়েছে।