ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ ভাদ্র ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মানবতার ফেরিওয়ালা হয়েও নিজেই অভাবের প্রতিচ্ছবি


প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ১৩:০০ অপরাহ্ন


মানবতার  ফেরিওয়ালা হয়েও নিজেই অভাবের প্রতিচ্ছবি

   


বোরহান মেহেদীঃ সৃজনশীল কাজকে বুকে ধারণ করে সময়ের সাক্ষী হয়ে কিছু মানুষ পৃথিবীত বিচরন করে, এমন কেউ কেউ চিরদিন অবহেলিত থেকে যায়। এটি হয়তো তার ভাগ্যচক্রের ফেরই বলা চলে। এমনি একজন প্রকৃতিমনা নিবেদিত মানুষ হচ্ছে এই মোঃ জাফর উল্লাহ্। 

পিতামৃত আহাম্মদ উল্লাহ্ এর ছেলে। বাড়ি নরসিংদীর পলাশে কর্তেতৈল গ্রাম। ফাজর উল্লাহ্ এক ছেলে এক মেয়ের জনক। তার পেশা ও নেশা আকুপ্রেসার থেরাপিষ্ট চিকিৎসা।  অভাব অনটনের সংসারে বড় হয়েছে, মেধা বিকাশের সুযোগ তেমন হয়নি। তবে এই চীনা আকুপ্রেসার পদ্ধতির চিকিৎসা বিদ্যা তার পুরোটাই দখলে। 

সে চায়না আকুপ্রেসার কিট ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে এই ন্যাচারাল পদ্ধিতে অসুস্হ্য রোগীকে সহজে সুস্হ্য করে তুলছেন। তার কাছে যে সব চিকিৎসা নিতে রোগী আসেন, তার বেশীর ভাগই হচ্ছে প্যারালাইসেস।

 শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের অবস ভাবকে তিনি আকুপ্রেশার মেসেজে সারিয়ে তুলেন। জাফর উল্লাহ্ এর সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই ধরনের রোগীর সংখ্যা অনেক কিন্তু আমার চায়না পদ্ধতির বিধিবিধানে অনেকেই আশ্বস্ত হচ্ছেনা। এই চিকিৎসার মর্ম এখনো চীনের মতো বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা বা প্রচার লাভ করেনি। তা ছাড়াও বিনালাভে তিনি ডায়াবিটিস আক্রান্তদেরও শরীর চর্চা ও খাবার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ডায়বিটিস থেকে রক্ষা পাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এছাড়াও আকুপ্রেসার চিকিৎসক জাফর উল্লাহ্ মানব সেবা মুলক কাজ করে ফিরছেন নিত্য। নিজ গ্রামের বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে গিয়ে জটিল রোগী বা অসুস্হ্যেরর খোঁজ খবর সময় কাটান। কখনো কখনো ঢাকায় নিয়ে গিয়েও যথাযত চিকিৎসা দিতে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন। অনেক সরল ও মানবতার সেবক শুধু আকুপ্রেসার নয় মানুষের মুখ এবং হাত দেখেও রোগ নির্ণয় করে থাকেন। তার চোখের বিচক্ষন দৃষ্টি যেন রোগীর কাছে এক মায়াময় মুক্তির ঠিকানা। 

 যেজন যে বিষয়ে সাধনা করে, সেটা নিয়ে একদিন সে সফল হয়। তার ধারনাও এমনটিই। তাই আপন মনে কর্মকে ধর্ম মনে করে তার প্রত্যাশার পথে হাটছেন জাফর উল্লাহ্। কথার ফাঁকে দুঃখ করে বলেন তিনি, সারাদিন এই  চিকিৎসা নিয়ে দৌড়াই। কিন্তু দিন শেষে পরিবারে বরন পোষনের মতো উপার্জণ হচ্ছেনা। নীজে কর্মব্যস্ত থেকেও জীবিকা নির্বাহের মতো টাকা পয়সা যোগার করতে পারিনা বলে বড় হতাশাতে ভুগতে হচ্ছে।


   আরও সংবাদ