ঢাকা, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩২, ২৫ জ্বমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ডিসেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত, তবে আলোচনায় রাজি


প্রকাশ: ৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:৫০ অপরাহ্ন


ডিসেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত, তবে আলোচনায় রাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য নির্বাচনের আগে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী। আজ রোববার রাজধানীর বেইলি রোড়ের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপের বিরতিতে দলটির সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির জন্য গণভোটের বিষয়ে বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল। তবে আমরা চাই সে গণভোট নির্বাচনের আগেই হোক। 

বিএনপি প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হবে। জামায়াত সংবিধান আদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচনের আগে সনদ কার্যকর এবং গণভোট চায়। গণভোট কবে হবে- প্রশ্নে হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, জনগণ গণভোটে অভ্যস্ত না। আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনকে কোন ধরনের সমস্যা না ফেলে, নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে গণভোট হতে পারে। সংসদ নির্বাচনের তপশিলের আগেও হতে পারে। গণভোট হয়ে গেলে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে কোন ধরনের বাঁধা নাই। আমরাও বাঁচি, জাতিও বাঁচে। 

জুলাই সনদের আইন ভিত্তির জন্য আগে থেকেই গণভোট দাবি করছে জামায়াত। হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন,  গণভোট হলে, কেউ আর সংস্কারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবে না। সংসদও সনদকে প্রত্যাখান করতে পারবে না। 

বিএনপির সঙ্গে জামায়াতে  দুরত্ব নেই জানিয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণভোটের ফলাফল যদি বিপক্ষেও যায়, জামায়াত মেনে নেবে। গণভোট আগে না পরে এটা আলোচনার সুযোগ আছে। সবাই গণভোটের পক্ষে একমত হয়েছে। গণভোট আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। 

জামায়াতের এই সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, গণভোটের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য, সব সময় সোচ্চার ছিলাম। সনদ বাস্তবায়ন আইনী ভিত্তির জন্য গণভোটের পক্ষে সবাই মত দিয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জামাতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান,  জামায়াতের নেতা অ্যাডভোকেট শিশির মনির। সংলাপে শিশির মনির বলেন, সংবিধান আদেশ জারির মাধ্যমে সনদ কার্যকর করে, গণভোট এবং তা পরবর্তীতে সংসদে অনুমোদনই সবচেয়ে সহজ পথ। 

অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধান আদেশ জারির ক্ষমতা নেই বিএনপির এই বক্তব্য খন্ডন করে শিশির মনির বলেন, শুধুমাত্র জনগণের কন্সটিটুয়েন্ট (সংবিধান প্রণয়ন বা রহিতের ক্ষমতা) এবং অ্যামেন্ডমেন্ট (সংবিধান সংশোধন)  ক্ষমতা রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেগঠিত সরকারকে জনগণ এই দুই ক্ষমতা দিয়েছে। এই ক্ষমতা বলে সংবিধান সংস্কার হলে, ভবিষ্যতে আদালতে তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। 


   আরও সংবাদ