প্রকাশ: ৩০ অগাস্ট, ২০২৪ ১২:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর লালবাগ এলাকার রসুলবাগের একটি বাসা থেকে ছাত্রলীগের কর্মী শায়লা শিকদারের (২২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী ছিলেন। এখন পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারেনি আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে মৃত শায়েলার বান্ধবী খুশবু শিকদারের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন করে তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢামেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মৃত্যুর আগে শায়েলা তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে লিখেন– ‘জীবনের প্রতি বিরক্ত!’ তবে কিসের জন্য এমন পোস্ট করেছেন তিনি, এ বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ইডেন কলেজের ২০২১–২২ সেশনের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী গ্রামের আল আমিন শিকদারের মেয়ে। বর্তমানে লালবাগ রসুলবাগে একটি বাসায় সাবলেট ভাড়া থাকতো। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়।
সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করেছে, লালবাগ রসুলবাগ রোডের ১৬৭/২/এ নম্বর একটি বাড়ির ষষ্ঠতলায় একটি সাবলেট রুমে থাকতেন শায়েলা। ২৮ আগস্ট সকালে তাঁর বান্ধবী খুশবু শিকদার বাসায় গিয়ে দেখেন শায়লা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে। তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়ে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, শায়লার গলায় অর্ধচন্দ্রাকার কালো দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এটা হত্যা না কী আত্মহত্যা, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।
শায়েলার বাবা আল আমিন বলেন, শুভ নামের এক সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবক মাস দেড়েক আগে আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমি তো শায়লাকে ভালোবাসি, আমি ওকে বিয়ে করতে চাই। শায়েলা না পেলে আমি সুসাইড (আত্মহত্যা) করবো। পরে আমি বলি তুমি সনাতন ধর্মাবলম্বী ছেলে এসব বিষয়ে কোনোভাবেই সম্ভব না। এসব বিষয় নিয়ে মেয়ে ডিপ্রেশনে (বিষন্নতা) ছিল, হয়তো সে কারণেই আত্মহত্যা করতে পারে।
লালবাগ থানার এসআই অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, প্রাথমিকভাবে এক ছেলের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে ডিপ্রেশনে (বিষন্নতা) আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া অন্য কোন কারণ আছে কি না তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন বলা যাবে।