প্রকাশ: ২৯ অগাস্ট, ২০২৪ ০১:২১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বাসায় ঢুকে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ছুরিকাঘাতে আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই নারী সীমা আক্তার (২২) ও তার গর্ভে থাকা সাত মাসের সন্তান মারা গেছেন। গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সীমা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে যাত্রাবাড়ী শহিদ জিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে নিহতের বাবার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃতের বড়ভাই মো. নাসির বলেন, আমাদের বাসার পাশেই আরেকটি ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতো তারা। মঙ্গলবার রাতে আমাদের বাসায় এসে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার সময়ই একজন এসে তার সঙ্গে ঘরে ঢুকে যায়। ওই সময় পরিবারের অন্য সদস্যরা পাশের বাসায় ছিল। সীমা ও তার চার বছরের সন্তান আবির হোসেন বাসায় ছিল। ওই যুবক কিছু না বলেই ছুরি নিয়ে সীমার দিকে তেড়ে যায়। তখন সীমা বলে আমাকে মারবেন না আমার পেটে সন্তান আছে। সীমার কথায় কর্ণপাত করেই পেটে কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে ওই যুবককে চিনতে পারেনি সীমা। সীমা মৃত্যুর আগে এসব কথা বলে গেছেন।
পরে সংবাদ পেয়ে রাতেই সীমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সীমাকে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। সীমার ছেলে সন্তান হয়, তবে বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তখন চিকিৎসকরা নবজাতকটিকে আইসিইউতে নিতে বলে। এর কিছুক্ষণ পরেই নবজাতকটি মারা যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজকে মারা যায় সীমা।
সীমার স্বামী মো. জুয়েল বলেন, আমাদের কোনো শত্রু নেই। কেন আমার স্ত্রী সন্তানকে মেরে ফেলল। আমার স্ত্রী বারবার বলছে তার পেটে বাচ্চা আছে, মেরো না। তবুও আমার স্ত্রীকে ছাড়েনি। আমি এঘটনার বিচার চাই। যাত্রাবাড়ী মোড়ে ফলের ব্যবসা করি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে ছুরিকাঘাতে আহত এক অন্তঃসত্ত্বাকে ভর্তি করে স্বজনরা। রাতেই এই নারীকে সিজার করা হয়, তবে শিশুটি মারা যায়। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেলে মারা যায় আহত নারী। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।