প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৬:২১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : জিনের বাদশা সেজে প্রতারণা করার অভিযোগ করেছেন আমিরুল ইসলাম নামে ভুক্তভোগী। বিভিন্ন থানায় করা তার অভিযোগে বলা হয়েছে, সঞ্চয় নামে এক ব্যক্তি একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে জিনের বাদশা পরিচয়ে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা হলেন, আলেয়া, আলেয়ার ছেলে এমাদ, আলেয়ার মেয়ে হাওয়া নুর ও তার জামাই মনির।
অভিযোগে তিনি বলেন, "আমি আমিরুল বাড্ডা থানার অধীন ৬১ মধ্য বাড্ডা এলাকার একজন বাসিন্দা। আমি একজন পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বিগত ২০১৯ সালে আমার আলেয়া নামক এক মহিলার সাথে পরিচয় হয়। তার স্বামী সঞ্চয়ের সাথে ১৩৯৯ ভাটারা এলাকায় থাকেন। তার এক ছেলে এমাদ, মেয়ে হাওয়া নুর এবং মেয়ের জামাই মনির সহকারে ওই বাসায় থাকেন।
গত ২০১৯ সালে আমার কিছু আর্থিক কষ্ট এবং পারিবারিক ঝামেলার কথা তাদের সাথে আলাপ করলে তারা বলে তাদের কাছে অনেক কামেল জীন আছে। যারা সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। এরপরে তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে প্রমাণ দেওয়ার চেষ্টা করে এবং নানা ভাবে আমাকে এটাই বুঝানোর চেষ্টা করে যে ওই সব জীন আসল।
পরবর্তীতে আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরি এবং জোর পূর্বক ভাবে আমার কাছ থেকে নগদ ৩ লক্ষ এবং পরবর্তীতে আরও ৫ লক্ষ টাকা নেন। যার বিপরীতে তারা আমাকে কোন কাগজ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। আমাকে বিভিন্ন তাবিজ এবং পানি পড়াসহ আরও অনেক কাজ করতে বলেন যা আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।
আমাকে বলেন ৬ থেকে ৭ মাস সময় লাগবে কাজ হতে। উক্ত সময় পার হলে আমি কোন ফল না পেলে তাদের দ্বারস্থ হলে তারা আমাকে আরও টাকা দেয়ার কথা বলে এবং বলেন আমি যদি না দেই তাহলে আমার আরও অনেক ক্ষতি হবে। আলেয়া এবং তার জামাই সঞ্চয় আমার অনেক ক্ষতি করবে বলে আলেয়া ভয় দেখায়। এরপর আমি বহু চেষ্টা করার পর ও অনাদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে পারি নাই। আমি পরবর্তীতে আরও খবর পাই এরা জামাই বউ বহু লোক জনেক বোকা বানিয়ে এই পর্যন্ত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শরীয়তপুরে অনেক লোককেও বোকা বানিয়ে অনেক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আমি এর বিচার চা।
পরবর্তীতে হোসনে আরা নামক আরেক মহিলার কাছ থেকে জানা যায় এই দম্পতি তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ এবং স্বর্ণালঙ্কার সহ আরও ৮ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়েছেন। বিনিময় যা তদবির দিয়েছেন তার কোনটাই কার্যকর হয় নাই। টাকা চাইতে গেলে আধ্যাত্মিক ভয়ভীতি দেখানো হয়। কিছুদিন আগের চিটাগাংয়ের জীনের বাদশা খ্যাত আব্দুল মান্নানের সােথ এই ভণ্ড দম্পত্তির যোগসাজশ আছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলেয়া বলেন, আমি তিন বছর ধরে অসুস্থ। সঞ্চয় আমার স্বামী না। তিনি আমাদের বাসায় থাকেন। সঞ্চয়ের স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হয়েছে। এজন্য কেউ হয়তো আমাদের পেছনে লেগেছে। আমিরুল নামে কাউকে চিনি না।
অন্যদিকে সঞ্চয় বিএন নিউজকে বলেন, ঘটনা ভিন্ন। আমার স্ত্রী আমাকে সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখন বাকী জীবনটা ধ্বংস করতে কাউকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছি। আমিরুল নামে কাউকে চিনি না আমি। আমরা কেউই জিনের বাদশা না। কেউ অভিযোগ করে থাকলে তদন্ত হোক। তবেই না সব বের হবে।